দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে আধার কার্ড সংক্রান্ত প্রতারণার ঘটনা। কলকাতা শহর সহ পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জেলা থেকে অভিযোগের খবর আসছে।
জানা যাচ্ছে, আধার-কার্ডের তথ্যভাণ্ডারে কার্ডের মালিকের যে বায়োমেট্রিক প্রমাণগুলি সংগ্রহ করা হয়েছে, সেই প্রমাণগুলিকেই বাঁকা পথে ব্যবহার করে এই প্রতারণাকাণ্ড দিবারাত চলছে। যে আধার কার্ডের জন্য উপভোক্তার যে সমস্ত বায়োমেট্রিক প্রমাণ সংগৃহীত হয়, সেগুলিকে কাজে লাগিয়েই এই প্রতারণার ফাঁদ পাতা হচ্ছে।
দুর্গাপুজোর উৎসব জমে ওঠার আগেই এই নতুন ধরণের প্রতারণার ঘটনাগুলি পুলিশের সাইবার- সেলকে রীতিমতো চিন্তায় ফেলেছে।
কলকাতার জয়েন্ট কমিশনার অফ পুলিশ (ক্রাইম) শঙ্খশুভ্র চক্রবর্তী জানিয়েছেন, এই বছরের জুন মাস থেকে আধার-কার্ড ব্যবহার করে প্রতারণা শুরু হয়েছে। দেখা যাচ্ছে, যে প্রত্যন্ত জায়গাগুলিতে এটিএম পরিষেবা প্রায় নেই, সেই জায়গাগুলিতে আধার-কার্ডে নথিভুক্ত তথ্য ক্লোন করে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টগুলো থেকে হাজার হাজার টাকা ডিজিটালি ট্রান্সফার করা হচ্ছে। এইধরণের প্রতারণার থেকে বাঁচতে প্রত্যেককে আধার কার্ডের বায়মেট্রিক লক করে নেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন তিনি।
রবিবারে এই লক করবার যে উপায়টি পাঠকদের জানানো হয়ে ছিল, তা এখানে আবার উল্লেখ করা হলোঃ
প্রথমে এম-আধার নামে একটি অ্যাপ আপনাদের স্মার্টফোনে ইন্সটল করুন। ইন্সটলের পরে অ্যাপটি খুলে আধারের বায়োমেট্রিক অপশনে গিয়ে লক করতে হবে।
কলকাতার নগরপাল বিনীত গোয়েল-এর বক্তব্য অনুযায়ী একদিনে কলকাতা শহরেই ৬৬টি অভিযোগ বুঝিয়ে দেয় এই প্রতারকদের জাল সর্বত্র ছড়িয়ে পড়েছে। তিনি বলেন, “কলকাতা পুলিশের সাইবার সেল এই ব্যাপারে যথেষ্ট তৎপর। বিভিন্ন মাধ্যমে প্রচারও করা চলছে এই ধরনের ঘটনা ঘটলে দ্রুত পুলিশকে জানান। জানতে পারলেই আমরা উপযুক্ত ব্যবস্থা নেবো। মানুষকে সচেতন করবার পাশাপাশি আমরা ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষের সঙ্গেও যোগাযোগ রাখছি। তবে এমআধার অ্যাপ্লিকেশনটি ডাউনলোড করে বায়োমেট্রিককে লক করাটা এখন আবশ্যিক”
Comments