top of page
Writer's pictureJaita Chowdhury, WTN

লক করা আঁধারের বায়োমেট্রিক থেকে উধাও টাকা, তদন্তে পুলিশ



এবার আঁধার কার্ডের বায়োমেট্রিক ব্যবহার করে ব্যাঙ্ক থেকে টাকা লোপাটের অভিযোগ উঠল মুর্শিদাবাদের কান্দিতে। এবার বেশ বড়সড় আর্থিক প্রতারণার স্বীকার হলেন কন্দির বাসিন্দা প্রতিমা রক্ষিত। মোবাইলে আচমকা টাকা ডেবিট হাওয়ার মেসেজ পেয়েই আঁতকে ওঠেন প্রতিমা দেবী। তড়িঘড়ি ব্যাঙ্কে গিয়ে জানতে পারেন আঁধারের বায়োমেট্রিক ব্যবহার করেই টাকা উঠেছে তাঁর ব্যাঙ্ক থেকে। অথচ,প্রতিমার দাবি বায়োমেট্রিক লক করা ছিল তাঁর। তাহলে কী ভাবে এই প্রতারণা?


ইতিমধ্যেই, সাইবার ক্রাইমে অভিযোগ জানিয়েছেন তিনি। কান্দির স্থায়ীয় এক স্কুলের শিক্ষক সুতনু রক্ষিতের স্ত্রী প্রতিমা রক্ষিত। তিনি আসামের লাম্বিং ডিভিশনের রেলওয়ে হাসপাতাললে চিফ মেট্রন পদে কর্মরত। তাঁর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট রয়েছে একটি রাষ্ট্রয়ত্ত ব্যাঙ্কে। তাঁর অভিযোগ, গত রবিবার তাঁর কাছে মেসেজ আসে তাঁর অ্যাকাউন্ট থেকে ৫ হাজার টাকা কেটে নেওয়া হয়েছে। কোনো বা ওটিপি ছাড়াই টাকা হাওয়া হয়ে যায় অ্যাকাউন্ট থেকে। এরপর ব্যাঙ্কের সঙ্গে যোগাযোগ করে জানতে পারেন, আঁধারের বায়োমেট্রিক ব্যবহার করেই টাকা উঠেছে তাঁর ব্যাঙ্ক থেকে।


বিশেষজ্ঞদের মতে, বর্তমানে মোবাইল অ্যাপের মধ্যমে আঁধারের বায়োমেট্রিক লক করা হয়ে থাকে।শুধু তাই নয়। অনেক জায়গায় বায়োমেট্রিক ফিঙ্গার প্রিন্ট ব্যবহার করেও টাকা তোলা হয়, এবার তাই হাতিয়ার করেছে জালিয়াতরা। এদের হাত থেকে বাঁচতে ভারত সরকার একটি টোল ফ্রি নম্বর চালু করেছে। নম্বরটি হল ১৯৩০। এই রকম জালিয়াতির ক্ষেত্রে পুলিশে অভিযোগ দায়ের হলে এবং সঠিক তদন্ত হলে টাকা উদ্ধার করা সম্ভব। পাশাপাশি বায়োমেট্রিক জালিয়াতি ঠেকাতে, বায়োমেট্রিক লক করা এবং ওটিপি শেয়ার থেকে বিরত থাকতে হবে।

Comments


bottom of page