গত কয়েক দিনের অপরিসীম বৃষ্টিতে মালদহের পুনর্ভবা নদীর জলস্তর বৃদ্ধি পাওয়ায় ভেসে গিয়েছে আশেপাশের প্রায় ১৫ টি গ্রাম। ভেসে গিয়েছে রাস্তা, স্কুল স্বাস্থ্য কেন্দ্র। যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন।
এছাড়াও জলের তলায় ডুবে গিয়েছে সীমান্তের কাঁটাতারের বেড়াও। বিপন্ন হয়ে পড়েছে প্রায় কুড়ি হাজার মানুষজন। তাদের অভিযোগ, এই দুঃখের দিনেও তারা পাশে পায়নি প্রশাসনকে।
মালদহের বামনঘোলা জায়গার বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে এই ভয়াবহ পরিস্থিতি। বিপদে পাশে নেই প্রশাসনও। মালদহের বামনগোলার জগদ্দলা গোবিন্দপুর, মহেশপুর এবং চাঁদপুর পঞ্চায়েতের প্রায় পনেরোটি গ্রাম জলের তলায় ডুবে গিয়েছে।
পুনর্ভবা নদীরই একটি শাখা নদী হাঁড়িয়া জলে ফুঁসে উঠে শোনঘাট,খুটাদহ, আদাডাঙ্গা,তাল ভিটা, বটতলী,রাঙ্গামাটি হরিহরপাড়া,ভক্ত পাড়া,তালতলা প্রভৃতি এলাকা ভাসিয়ে দিয়েছে।
প্রায় ২৫ থেকে ৩০ টি রাস্তা কেটে ভেসে যাওয়ার ফলে যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। ১৫০থেকে ২০০ বিঘা ধান জমির জলের নিচে ডুবে গিয়েছে ফলে ক্ষতি হয়েছে ফসলের । শিক্ষা প্রতিষ্ঠানও জলের তলায় রয়েছে খুটাদহ হাই স্কুল, বটতলী প্রাথমিক স্কুল খুটাদহ উপস্বাস্থ্য কেন্দ্র প্রভৃতি স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলি ও জলের তলায়।
এই বানভাসী মানুষদের অভিযোগ, তারা কোন ত্রাণ পরিষেবাই পাননি । তিন দিন কেটে গেলেও তাদের উদ্ধার করার জন্য কেউ আসেনি।
এমন সংকটজনক অবস্থায় একমাত্র ডিঙি বা নৌকায় তাদের একমাত্র ভরসা। তবে জলের তোড়ে তা চালিয়ে নিয়ে যাওয়াও বিপদজনক।
শুক্রবার বিকেলে প্রথম এই এলাকায় পৌঁছান তৃণমূল পরিচালিত বামনগোলা পঞ্চায়েত সমিতির ত্রাণ কর্মাধ্যক্ষ রাজিতা কিসকু।
একমাত্র তিনিই ত্রিপল এবং কিছু শুকনো খাবার নিয়ে এলাকায় বিলি করেন। তবে পরিস্থিতি এতটাই ভয়াবহ যে সেখানে ত্রাণ পৌঁছে দেওয়াও সম্ভব হচ্ছে না।
Коментарі