করোনা কালের আগে হোক বা পরে, কমবেশি ওষুধ প্রতিনিয়ত আছে সকলের বাড়িতে। আবার অনেকের জীবন পুরোপুরি নির্ভর করে ওষুধের ওপর। আর ওষুধের চাহিদা যত বাড়ছে ততই বাড়ছে ওষুধ বিক্রির ধরণগুলোও।
বাজার চলতি ওষুধের দোকানে প্রায় চোখে পড়ছে ডিসকাউন্টের ঢল। আবার ডিজিটাল যুগে দাড়িয়ে বাড়িতেই চলে আসছে ওষুধ। একটা বুকিংয়ে অনলাইন এ পাওয়া যাচ্ছে সব ধরনের ওষুধ। তাতেও রয়েছে একরাশ ছাড়।
তবে এই ছাড়ের পেছনেই কি লুকিয়ে রয়েছে দুর্নীতির কালো ছায়া। রিপোর্ট বলছে তাই, দেশজুড়ে চলছে রমরমা নকল ওষুধের ব্যবসা। এমনকি বাজারে চলে এসে লিভারের ওষুধ ডেফিওট্যালিও এবং ক্যান্সারের ইঞ্জেকশন অ্যাডসেট্রিস এর নকল ওষুধ।
এই নকল ওষুধের রমরমা ব্যবসা বন্ধ করতেই নড়েচড়ে বসলো জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। দেশ জুড়ে এই অসাধু ব্যবসা বন্ধ করতে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী ও ডিসিজিআই কে নোটিশ পাঠালো কমিশন।
নোটিশে প্রশ্ন করা হয়, কেন, কীভাবে এই নকল ওষুধ বাজারে এলো? কীভাবেই বা এত বাড়-বাড়ন্ত হলো এই অসাধু ব্যবসার। পাশাপাশি প্রশ্ন করা হয় এখনো পর্যন্ত এই জাল ওষুধে বাজার ছেয়ে যাওয়ার বিরুদ্ধে কী কী পদক্ষেপ নিয়েছে প্রশাসন? সমস্ত বিষয় খতিয়ে নিয়ে নোটিশের জবাব যত শীঘ্রই সম্ভব দিতে বলা হয়েছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী ও ডিসিজিআইকে।
তবে প্রশ্ন উঠছে কোথাও কি বেপরোয়া হয়ে যাচ্ছে সাধারণ মানুষ? ছাড়ের লোভে যে কোনো জায়গা থেকেই ওষুধ কিনছে তাঁরা। ওষুধগুলির স্ট্রিপ বা ভায়াল খুঁটিয়ে পরীক্ষা না করেই বাড়িতে নিয়ে আসছে তাঁরা। অসুস্থ আত্মীয়পরিজনদের সেই ওষুধ খাওয়াচ্ছেন। দুটি পয়সা সাশ্রয় করবার জন্যে নিচ্ছেন প্রাণের ঝুঁকি। উপভোক্তাদেরও তাই যথেষ্ট সতর্ক হতে হবে।
Comments