top of page
Writer's pictureRuchika Mukherjee, WTN

ইলিশের আকাল রান্নাপুজোয়, বাঙালিদের মন বিষণ্ণ, মাথায় হাত মৎসজীবীদের


রান্নাপুজোর তোড়জোড় শুরু হয়ে গিয়েছে প্রত্যেক বাঙালি পরিবারগুলোতে। রাত জেগে হবে রান্না। আগের দিন রান্না করা খাবারটা পরের দিন ঠাণ্ডা খাওয়াটাই নিয়ম।এই পুজোয় বিশেষ উপকরণ ইলিশ।


এদিকে, এই বছর ইলিশের ঘোর আকাল। সমুদ্রে গিয়ে ইলিশ শিকার বন্ধ রেখে বৃহস্পতিবার উপকূলে একের পর এক ট্রলারের ভিড়।


দুর্যোগের কারণে শনিবার পর্যন্ত ইলিশ শিকার সমুদ্র থেকে বারণ ছিল সরকারের তরফ থেকে। এইবার তাই ইলিশের আকাল। বাঙালিকেও কোনো রকমে নমো নমো করে পুজোর আয়োজন সারতে হচ্ছে।


প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে সমুদ্র উত্তাল তাই ট্রলার গুলো ইলিশ শূন্য। তাও যে কটা ইলিশ ট্রলারে এসেছিলো সেগুলোর দাম বাজারে চড়া।


প্রায় লক্ষধিক টাকা খরচ করে ট্রলারে ইলিশ ধরতে বেরিয়েও খালি হাতে ফিরে আসায় মাথায় হাত মৎসজীবীদের। প্রচুর পরিমানে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ক্ষুদ্র ও পাইকারি মাছ ব্যাবসায়ীরা।


ডায়মন্ড হারবার নগেন্দ্রবাজার পাইকারি মাছের আড়তের একজন আড়তদার জানিয়েছেন, এবার পুজোয় ইলিশের যোগান নেয় একেবারেই। হাতেগোনা ৪৫০-৫০০ গ্রাম ওজনের কিছু ইলিশ ব্রিক্রি হয়েছে প্রতি কেজি ৮০০-৯০০ টাকায়।


বাজারে ইলিশের দাম শুনে বাঙালির চোখ উঠেছে কপালে। ইলিশ ছাড়াই রান্নাপুজোর বাজার সারতে হয়েছে অনেককেই।


বাংলার ঘরে ঘরে রান্না পুজো এবার ইলিশহীন। মন ভালো নেয় গৃহস্থেরও। মাথায় হাত মৎসজীবীদের। মাত্রাতিরিক্ত খোকা ইলিশ ধরে খাওয়ার পরিণামেই কি এই আকাল? উঠছে প্রশ্ন।


Comments


bottom of page