ইন্দো-কানাডিয়ান কূটনৈতিক সম্পর্কে সাম্প্রতিকঅবনতির কারণে আন্তর্জাতিক শিক্ষক মহল, কূটনীতিবিদ, ভারত সরকার এবং শিক্ষার্থীদের অভিভাবকেরা যথেষ্ট উদ্বিগ্ন।
এঁদের অধিকাংশই মনে করছেন সাম্প্রতিক উত্তেজনার ফলে উচ্চ শিক্ষার জন্য কানাডায় যাওয়া ছাত্রদের সংখ্যায় বড় ধরণের প্রভাব ফেলতে পারে।
নিরাপত্তার উদ্বেগ এবং কানাডায় সম্ভাব্য ঘৃণামূলক অপরাধগুলিতে জড়িয়ে পড়া বা শিকার হওয়ার পরিস্থিতি তৈরি হওয়ার ফলে শিক্ষার্থীদের বিকল্পগুলি বিবেচনা করতে পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।
এনাদের মনে হচ্ছে যে, ভয়ের কারণগুলি এই মুহূর্তে ঘোর বাস্তব।
সেই ভয়ের দিকটি বিবেচনা করে তাঁদের বক্তব্য, উত্তর আমেরিকার এই দেশটি বাদ দিয়ে অন্যত্র বা ভারতেই বিদ্যার্থীদের বিকল্প শিক্ষণ ব্যবস্থার সন্ধান করা উচিৎ।উচ্চ-শিক্ষার এই সম্ভাব্য স্থান-বদলের প্রবণতা এর আগে অস্ট্রেলিয়া এবং আমেরিকায় ভবিষ্যৎ সন্ধানে যাওয়া ছাত্র-ছাত্রীদের ক্ষেত্রে দেখা গেছে।
ইন্দো-কানাডিয়ান কূটনৈতিক সম্পর্ক খারাপ হওয়ার সুত্রে উত্তর আমেরিকার দেশটিতে সম্ভাব্য ছাত্রদের সংখ্যা অনেকটা কম হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা অত্যন্ত বেশি। কানাডায় বাড়তে থাকা ঘৃণামূলক অপরাধের ঘটনাগুলি জন্যে ছাত্রছাত্রীদের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্দবেগ হওয়াটা অত্যন্ত স্বাভাবিক।
সেই কারণে বিশেষজ্ঞরা উচ্চাকাঙ্ক্ষী মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীদের অত্যন্ত সতর্ক হয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। কানাডায় পঠনপাঠনের জন্যে যাওয়া ছাত্র-ছাত্রীরা তাদের ব্রত্নান শিক্ষাক্ষেত্রগুলি থেকে স্থানান্তরিত হওয়ার কথা ভাবে, তাহলে তাদের দোষারোপ করাটা ঠিক হবে না।
অভিভাবকেরাও যথেষ্ট উদ্বিগ্ন। অবশ্য জানা যাচ্ছে যে, কানাডা বসবাসকারী খুব কম ছাত্র-ছাত্রীই সেখানে তাদের শিক্ষাপর্ব স্থগিত করে শিক্ষাগ্রহণের বিকল্প জায়গাগুলি নিয়ে বর্তমানে অন্বেষণে ইচ্ছুক।
Comments