যাদবপুর কফি হাউস এ ল্যাপটপ ব্যবহার কেন্দ্র করে গত কয়েকদিন ধরেই বিতর্ক চলছে। কর্তৃপক্ষের বক্তব্য, কফি হাউসে ল্যাপটপ ব্যবহার করা যাবে না। শুক্রবার এই বিতর্ক চরম আকার নিল। দেবলীনা ঘোষ নামে এক শিক্ষিকার উপর কফি হাউসের কর্মীরা অসভ্য আচরণ করেছে বলে অভিযোগ। ওই শিক্ষিকার দিকে রীতিমতো কর্মীরা তেড়ে আসে বলে অভিযোগ। অভিযোগ, কর্মীদের ভিড়ে কয়েকজন এমনও ছিল যারা যাদবপুর কফি হাউসের কর্মীদের মধ্যে পরিচিত মুখ নয় বলেও অভিযোগ।
শোনা যাচ্ছে যাদবপুর কফি হাউস নতুন কোনও বিনিয়োগকারী লবির হাতে তুলে দেয়ার জন্যই কর্তপক্ষে ইচ্ছা করে গন্ডগোল পাকাচ্ছে।
প্রসঙ্গত কফি হাউস কে বাঁচিয়ে রেখেছে তারাই যারা প্রায় ১০, ১২ বছর ধরে এখানে আসে। মূলত, নানা ধারার প্রগতিশীল , গণতান্ত্রিক মানুষ তারা।
কফি হাউস সাধারণ কোনও রেস্টুরেন্ট নয়। সাধারণ রেস্টুরেন্টে ল্যাপটপ নিয়ে বসা যায়। কলেজ স্ট্রিট কফি হাউস এও ল্যাপটপ বন্ধ করা হয়নি। এ বিষয়ে সরকারি কোনও আইনও নেই। তাহলে কোন যুক্তিতে শুধু যাদবপুর কফি হাউসে ল্যাপটপ ব্যান করা হবে, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছেই।
ল্যাপটপ বন্ধ করার প্রতিবাদে কফি হাউসের সর্বোচ্চ কর্তৃপক্ষকে ৭৫ জনের সাক্ষর সমেত একটা অভিযোগ পত্র পাঠিয়েছেন ক্রেতারা। তাপর বক্তব্য, - ' কফি হাউসের একটা দীর্ঘ সংস্কৃতি আছে। কফি হাউসে মুক্ত চিন্তার সংস্কৃতি চর্চা হয়। সেখানে কেউ কেউ ল্যাপটপ নিয়ে গবেষণার কাজ করে। এমন নয় যে তারা কোন বিলিং না করে ঘন্টার পর ঘন্টা বসে থাকে। কর্তৃপক্ষের যুক্তি ল্যাপটপ ব্যবহারের ফলে নাকি ব্যবসার ক্ষতি হচ্ছে। ল্যাপটপ ব্যবহার করে তিন চারজন হবে।' তাদের জন্য ব্যবসার ক্ষতি হবে মেনে নিতে পারছে না কফি হাউসের বেশির ভাগ কাস্টমার। এছাড়াও 'এক ঘন্টায় ন্যূনতম দেড়শ টাকা বিল করতে হবে এরকম নানারকম অনৈতিক অযৌক্তিক ও বেআইনি জারি করা হচ্ছে।' প্রতিনিয়ত আসা কাস্টমারদের অভিযোগ,- 'আসলে এটা নতুন বিনিয়োগকারীর হাতে তুলে দেওয়ার গভীর ষড়যন্ত্র।'
দেবলীনা নামে যে শিক্ষিকার সঙ্গে অসভ্য আচরণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ, - তাতে তিনি মর্মাহত ও অপমানিত বলে জানিয়েছেন। এদিন নির্দিষ্ট সময়ের আগেই এক প্রকার জোর করে বন্ধ করে দেওয়া হয় কফি হাউস। এক প্রকার জোড় করে কাস্টমারদের বের করে দেওয়া হয়। পাশাপাশি বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানিয়ে দেওয়া হয় অনির্দিষ্টকালের জন্য কফি হাউস বন্ধ।
Kommentare