top of page

EXCLUSIVE ল্যাপটপ বিতর্ক : কফি হাউসে তালা দিল কর্তৃপক্ষ

(গত তিন সপ্তাহ ধরে যাদবপুর কফি হাউস নিয়ে চলতে থাকা সমস্যা ও বিতর্কের খবর ধারাবাহিকভাবে তুলে ধরেছি আমরা। আমাদের বিশ্বাস এই বিবাদ মিটিয়ে আবার তালা খুলবে যাদবপুর কফি হাউসের )



কফি হাউসে ল্যাপটপ ব্যবহার করা যাবে না। বেশ কিছুদিন আগে যাদবপুর কফি হাউস কর্তৃপক্ষ, অর্থাৎ 'কফি ওয়ার্কার্স কোঅপারেটিভ সোসাইটি লিমিটেড' একটি নোটিশ ঝোলায়। তাদের বক্তব্য - ল্যাপটপ নিয়ে বসা যাবে না। ল্যাপটপে কাজ করতে করতে ক্রেতারা নাকি অহেতুক টেবিল আটকে রাখেন। এর পরেই শুরু হয় বিবাদ। তারপর গেটে ঝুলল তালা । সঙ্গে নোটিশ। বন্ধ করা হল যাদবপুর কফি হাউস।



এদিকে, ক্রেতাদের বক্তব্য, সিংহভাগ ক্রেতাই ১০ বছর বা তার বেশি সময় ধরে কফি হাউসে আড্ডা দিতে যান। বলাই বাহুল্য, আড্ডা কফি সহযোগে। শুক্রবার বিকেলে কফি হাউস কর্তৃপক্ষ ও ক্রেতারা সরাসরি বিবাদে জড়ান।


দেবলীনা ঘোষ নামের একজন শিক্ষিকা কর্মীদের হাতে হেনস্থা হন বলে অভিযোগ। এরপরই রবিবার সকালে কফি হাউসে গিয়ে দেখা যায়, - কফি হাউস বন্ধের নোটিশ দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।


এমনিতে দীর্ঘকাল ধরে নানা পেশা, নানা চিন্তার মানুষদের আড্ডার জায়গা হিসেবে পরিচিত যাদবপুর কফি হাউস।

ক্রেতা ও কর্মীদের সম্পর্কও বন্ধুর মতই দেখা যেত। শোনা যাচ্ছে, যাদবপুর কফি হাউস বিক্রি করে দেওয়া হবে। নতুন বিনিয়োগকারীর স্বার্থেই নাকি নতুন পদক্ষেপ।

বিবাদ আছে। ওয়াকিবহাল মহলের কারো কারো বক্তব্য, - স্রেফ ল্যাপটপ ইস্যু হতে পারে না। বড় জোর দু-একজন ল্যাপটপ নিয়ে বসেন। এবং তাঁরা বহুকালের ক্রেতা। ক্রেতারা ও স্হানীয়রা কর্তৃপক্ষের তালা ঝোলানোয় যত না বিরক্ত, তার চেয়েও বেশি - অবাক! জোর করে এত কালের একটা ব্যবসা ভেঙে দেওয়া হচ্ছে কার স্বার্থে, প্রশ্ন তুললেন তাঁরা।

Comentários


bottom of page