সুমিত দাস, সাংবাদিক
৬১ বছর পর বুধবার এল সাফল্য । বিশ্বদরবারে ভারতই প্রথম দেশ যে চাঁদের কুমেরুতে পৌঁছতে পেরেছে । ইতিহাস রচনার দিনই এল নতুন খবর । এবার চন্দ্রযান ৪, ৫, ৬ এর রূপরেখা সাজাচ্ছ ইসরো ?
শোনা যাচ্ছে, লুনার পোলার এক্সপ্লোরেশন মিশন বা চন্দ্রযান -৪, ২০২৫ সালে হবার সম্ভাবনা। এটি ল্যান্ডার রোভার মিশন হবে, যা চাঁদের মেরুতে স্যাম্পেল সংগ্রহ করবে। চাঁদে বেঁচে থাকা যায় কিনা, তা অনুসন্ধানের এই মিশনে ভারতের সহযোগী হবে জাপান।
২০১৯-এ ছিল চন্দ্রযান -২ মিশন। সেবার চন্দ্রযান চাঁদের মাটি ছুঁতে ব্যর্থ হয়। এরপর ২৩ আগস্ট, ২০২৩। চাঁদের মাটি ছুলো চন্দ্রযান বিক্রম। ৫৪ বছরে তিলে তিলে গড়ে ওঠা ইসরো আগামীতে আরো বড় স্বপ্নের যাত্রা সাজিয়ে রেখেছে। ইতিমধ্যে চন্দ্রাযান- ৪ ও চন্দ্রযান -৫ এর রূপরেখা তৈরি করছে ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্র।
ল্যান্ডার ভিত্তিক রোটারি পারকিউসিভ ডিলিং, যাতে চাঁদের মাটিতে ১-১.৫ মিটার গর্ত করে পরীক্ষানিরীক্ষা হবে। ২০২৫ - ৩০, এই সময়কালের মধ্যে এই মিশন নেবে ইসরো। প্রযুক্তি উন্নয়ন ও পরীক্ষার ধাপ অনুযায়ী এই অনুমান।
সেক্ষেত্রে চন্দ্রযান - ৬ মিশনের অনুমানও আগাম পাওয়া যাচ্ছে। চাঁদের মাটিতে খোঁড়াখুঁড়ি করে আরো পরীক্ষানিরীক্ষা চালানোর জন্য চন্দ্রযান - ৬ মিশনের জন্য ২০৩০-৩৫ সালের অনুমান করা হয়েছে।
ভারতের মহাকাশ গবেষণা ৫৪ বছর পেরিয়ে এল। ১৯৬৯ সালে একরাশ স্বপ্ন নিয়ে ইন্ডিয়ান স্পেস রিসার্চ অর্গানাইজেশন, মানে ইসরো গঠিত হয়।
মহাকাশ গবেষণা এদেশের উদ্যোগ অবশ্য শুরু হয় আরো ৭ বছর আগে। ১৯৬২ সালে জওহরলাল নেহরুর সরকারের আমলে গঠিত হয় 'ইন্ডিয়ান ন্যাশানাল কমিটি ফর স্পেস রিসার্চ' (INCOSPAR)৷ পরে ১৯৬৯ সালে অ্যাটমিক রিসার্চ বিভাগের অধীনে গড়ে আজকের ইসরো। নানা ঘাত-প্রতিঘাত পেরিয়ে এর আগে ২০০৮ সালে চাঁদের মাটি ছোঁয় ইসরো। সেবার ছিল চন্দ্রযান - ১। সেবছর ২২ অক্টোবর চাঁদের উদ্দেশ্যে রওনা দেয় চন্দ্রযান। পৌঁছায় ২০০৯-এর মে মাসে। পরের আগস্টে হারিয়ে যায় চন্দ্রযান।
চন্দ্রযান ১ ও চন্দ্রযান ৩-এর সাফল্যে ভারতের মহাকাশ গবেষণা জনপ্রিয়তাও পেয়েছে। মহাকাশ নিয়ে সাধারনের আগ্রহ বেড়েছে। সামনের এক-দেড় দশকে বিজ্ঞান ও মেধা চর্চায় ভারতও বিশ্বকে নেতৃত্ব দেবে, তা বলাই যায়। বলাই যায়।
Comments