শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ধৃত পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে ‘কিংপিন’ বলে দাবি সিবিআইয়ের। আদালতে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার দাবি, দুর্নীতি মামলায় মিডলম্যানদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ ছিল প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীর। পার্থর নির্দেশেই একাধিক ব্যক্তি দুর্নীতিতে জড়িয়েছেন বলেই দাবি।
গত বছরের জুলাই মাসে গ্রেপ্তার হন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। প্রাক্তন মন্ত্রী ‘ঘনিষ্ঠ’ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়কেও গ্রেপ্তার করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। অর্পিতার বাড়ি থেকে ২০ কোটি টাকা উদ্ধার হয়। এছাড়া বিপুল পরিমাণ গয়নাগাটিও উদ্ধার হয়। যদিও এই বিপুল টাকাপয়সা, গয়নাগাটি সম্পর্কে তাঁর কিছু জানা নেই বলেই দাবি করেছেন পার্থ। তবে আবার অর্পিতাও পার্থর দিকেই দায় ঠেলেছে। এই টানাপোড়েনের মাঝে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার তদন্তে দুর্নীতির ‘কিংপিন’ হিসাবে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কথা উল্লেখ করেছে।
এদিকে, বুধবার ফের জামিনের আবেদন জানান পার্থ চট্টোপাধ্যায়। প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীর আইনজীবী আদালতে জানান, “আমার মক্কেলের জয়েন্টে সমস্যা। হাই সুগার। কিডনির সমস্যা দীর্ঘদিনের। মেডিক্যাল বোর্ডের পরামর্শ ছিল নিয়মিত রক্তপরীক্ষা করার। গত ৯ মাসে রক্তপরীক্ষা হয়নি। জেলে চিকিৎসা হচ্ছে না। যেভাবে চিকিৎসা হওয়া দরকার, সেটা হচ্ছে না।” আইনজীবীর বিস্ফোরক দাবি, “দিনের পর দিন বিনা চিকিৎসায় রয়েছেন পার্থ। হেফাজতে রয়েছেন। তবে তদন্ত হচ্ছে না। প্রথম থেকেই আমার মক্কেল তদন্তে সহযোগিতা করেছেন। সাহায্য করিনি এরকম কোনও রিপোর্ট নেই।”
আরও একবার জামিনের আবেদন জানান পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের আইনজীবী। বলেন, “আমার মক্কেলের বাড়ি নেতাজিনগর থানা এলাকায়। অর্থাৎ এই আদালতের এলাকার মধ্যেই পড়ে। তাই যে কোনও শর্তে জামিন দেওয়া হোক।” এর পরই কার্যত আবদারের সুরে পার্থ বলেন, “বাড়িতে বসেই চিকিৎসা করতে চাই।” তবে তাঁর আর্জি খারিজ হয়ে যায়। আগামী ১৭ জানুয়ারি পর্যন্ত জেল হেফাজতের নির্দেশ দেয় আদালত।
תגובות