top of page

আজ কার্নিভাল একাধিক রাস্তা বন্ধ থাকায় বাড়ছে যানজট



পুজোর আমেজ কাটতে না কাটতেই খুলে গিয়েছে একাধিক বেসরকারি অফিস, ব্যাংক, সহ বিভিন্ন বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানও। তবে আজকে দুর্গাপুজোর কার্নিভাল যা প্রত্যেকবারের মতো এবারও অনুষ্ঠিত হবে রেড রোডে। ফলে এই শোভাযাত্রার জন্য শহরের একটি বড় অংশে জ্যাম যানজট এর সৃষ্টি হয়। লালবাজারের তরফ থেকে জানানো হয়েছে আজকে কার্নিভাল চলাকালীন কলকাতার অনেকগুলি গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা বন্ধ থাকবে। তবে অন্য বিকল্প পথগুলি মারফত যানবাহন চলবে।


লালবাজার সূত্রের খবর, এ বছরে কার্নিভালে অংশগ্রহণ করবে ৯৬টি পুজো। গত বছরের তুলনায় এবছরে রেড রোডে প্রায় চার ঘণ্টা অনুষ্ঠান চলবে বলে অনুমান করছেন পুলিশকর্তারা। সেই অনুযায়ী যাবতীয় পরিকল্পনা করা হয়েছে। গতকাল কলকাতা ট্র্যাফিক পুলিশের জারি করা এক নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে, শুক্রবার কার্নিভালের জন্য দুপুর ২টো থেকে অনুষ্ঠান শেষ হওয়া পর্যন্ত রেড রোড, লাভার্স লেন, কুইন’স ওয়ে, এসপ্লানেড রো, পলাশি গেট রোড বন্ধ থাকবে। খিদিরপুর রোড ও ডাফরিন রোডেও যান নিয়ন্ত্রণ হবে । পাশাপাশি, থাকছে একাধিক বিধিনিষেধ পার্কিংয়ের ক্ষেত্রেও। মেয়ো রোড, ক্যাথিড্রাল রোড, জওহরলাল নেহরু রোড, কুইন’স ওয়ে, বেন্টিঙ্ক স্ট্রিট, হেয়ার স্ট্রিট-সহ রেড রোড সংলগ্ন একাধিক রাস্তায় ওই বিধিনিষেধ থাকবে।


তবে, সপ্তাহের কাজের দিনে মধ্য কলকাতার একটি বড় অংশ এত দীর্ঘ সময় বন্ধ থাকলে অফিসযাত্রীদের ক্ষেত্রে সমস্যা আরো বাড়বে। ধর্মতলার এক ট্র্যাফিক পুলিশকর্মীর কথায়, পুজোর পরে বেসরকারি অফিসগুলি খুলে গিয়েছে। রাস্তায় যানজট আরও বেড়েছে। এই অবস্থাতে চার-পাঁচ ঘণ্টা ধরে যদি অনুষ্ঠান চলে তাহলে গাড়ির জট সামলানো খুব মুশকিল।



রেড রোড ঘিরে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থার বন্দোবস্ত করা হয়েছে। পুলিশের ধারণা আজকের অনুষ্ঠানে ভিভিআইপি-সহ, প্রায় ২০ হাজার মতো দর্শকের সমাগম হতে পারে। আসবেন অনেক বিদেশি অতিথিরাও। তাই নিরাপত্তার ক্ষেত্রে কোনও রকম ত্রুটি থাকছে না। পুলিশকর্মীরা বৃহস্পতিবার থেকেই প্রায় গোটা রেড রোডের দখল নিয়েছেন। পুলিশ কুকুর এনে চলছে দফায় দফায় তল্লাশিও।


পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, আজ রেডরোড সহ সংলগ্ন এলাকাগুলিতে আড়াই হাজার অতিরিক্ত পুলিশকর্মী মোতায়েন করা হয়েছে। একাধিক জ়োনে ভাগ করে নিরাপত্তার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ১৬ জন উপ-নগরপাল এবং আট জন যুগ্ম নগরপাল পদমর্যাদার আধিকারিকের উপরে। কুইক রেসপন্স টিম, বিশেষ বাহিনী এবং অ্যাম্বুল্যান্স প্রস্তুত রাখা হয়েছে। চলবে ক্যামেরার মাধ্যমেও নজরদারি।

Comments


bottom of page