top of page

দিলীপ ঘোষ নিজের প্রধানমন্ত্রীত্বের দাবি জোরদার করলেন


গত মঙ্গলবার ‘বাঙালি প্রধানমন্ত্রী’-র দাবি নিয়ে গলা তুলেছিলেন দিলীপ ঘোষ। আজ বুধবার সেই দাবি নিয়ে অনড় রইলেন পশ্চিমবঙ্গ বিজেপি-র প্রাক্তন সভাপতি।


গতকাল তাঁকে এই বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, “তিনি বলেন যদি বিষয়টা বাঙালী প্রধানমন্ত্রীরই হয় তাহলে তার নাম কেন নয়? তিনিও বাঙালি।“


আর আজ সেই দাবির যথার্থতা প্রতিষ্ঠার জন্যে তিনি বললেন, “বাঙালি সেন্টিমেন্টে যদি বাঙালি সেন্টিমেন্টে যদি মমতাকে প্রধানমন্ত্রী করতে হয়, তবে আমিও দাবিদার। কারণ মমতার নেতৃত্বে ২০১৯-এ ৩৪ থেকে ২২টা সিটে এসে পৌঁছেছে তৃণমূল। আমার নেতৃত্বে দুই থেকে 18তে পৌঁছেছিল বিজেপি। আমার রেজাল্ট ভালো। তবে আমি কেন প্রধানমন্ত্রী হব না?”


অভিজ্ঞ মহল মনে করছেন, দিলীপ ঘোষের এই মন্তব্যটি নেহাৎ আলটপকা নয়। ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচনের প্রচারে বিজেপি ‘বাঙালি’ আবেগে সুড়সুড়ি দেবে।


যদিও একথা অস্বীকার করবার উপায় নেই যে পশ্চিমবঙ্গবাসীদের অনেকেই চেয়ে এসেছেন নতুন দিল্লীর প্রাইম মিনিস্টার অফিস একজন বাঙালি অলংকৃত করুক। প্রায় তিন দশক আগে ‘ঐতিহাসিক ভুল’ করে সিপিআই(এম) জ্যোতি বসুকে প্রধানমন্ত্রী হতে দেননি। সেই ক্ষোভ রয়েই গেছে।


বিজেপি-র বিরুদ্ধে যে ইণ্ডিয়া জোট আসন্ন নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় অবতীর্ণ হবে, সেই জোটে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এক প্রমুখ প্রার্থী। সেই তৃণমূল নেত্রীর পায়ের নিচে কাঁটা বেঁধাতেই দিলীপ ঘোষ সচেতনভাবেই উসকে দিয়েছেন।


ধুপগুড়ি সহ উত্তর প্রদেশ এবং অন্য তিনটি রাজ্যে উপনির্বাচন হারবার পরে পশ্চিমবঙ্গের বিজেপি নেতৃত্ব উপলব্ধি করতে পারছেন যে শুধু চাকরি সংক্রান্ত দুর্নীতির প্রসঙ্গ তুলে তৃণমূলের ভোটে ভাগ করা সম্ভব নয়। তাই রাজনীতির ঘোলা জলে মাছ তোলার চেষ্টাটুকু একবার করা যাক।

Comments


bottom of page