সামনে এলো পরীক্ষার ফলাফল জয়ের রং সবুজ
হলো অপেক্ষার অবসান। সামনে এলো ধূপগুড়ি উপনির্বাচনের ফলাফল তৃণমূল ৪৬০০ ভোটে জয়ী। গত ৫ই সেপ্টেম্বর উপনির্বাচনে র মাধ্যমে একটি অ্যাসিড টেস্ট করেছিল যেটা থেকে আসন্ন লোকসভার ভবিষ্যত অনুমান করার সহজ হবে, সে অনুমানের শংসাপত্র হাতে এসে গেছে।
প্রথম থেকেই এটি ত্রিপাক্ষিক লড়াই হলেও ফলাফলের দিন মুখোমুখি লড়াই করেছে দুটি দল, সবুজ ও গেরুয়া শিবির। প্রতিটি দফায় বাম কংগ্রেস জোট কিছু আসন দখল করলেও শীর্ষে আসতে পারেনি।
উপনির্বাচনের দুদিন আগে প্রাক্তন তৃণমূল বিধায়ক মিতালি রায় দলত্যাগ করে বিজেপিতে যোগদান করেন এবং ভোটের দিন তিনি দৃঢ় বিশ্বাসের সঙ্গে বলেন এইবার আবার জয়লাভ করবে বিজেপি কিন্তু আজ ফলাফল অন্য কথা বলছে।
আর শুরু থেকেই দেখা যাচ্ছিল বিজেপির জয় শ্রীরাম শ্লোগানের হুংকার। প্রথম ও দ্বিতীয় দফায় বিজেপি যথাক্রমে ১৬০০ ও ২৫৮১ ভোটে এগিয়ে থাকলেও তৃতীয় চতুর্থ দফায় সবুজ রঙের হোলি খেলেছে তৃণমূল সমর্থক। কিন্তু পঞ্চম দফায় আবারো ৮০০ ভোটে টেক্কা দিয়ে সামনে এগিয়ে আসে বিজেপি।
সপ্তম এবং অষ্টম দফা ২৯৩১ এবং ৩৮৩৩ ভোটে তৃণমূল এগিয়ে ছিল।
আর অন্তিম দফা শেষ হলে দেখা যায় তৃণমূল চার হাজারেরও বেশি ভোটে এগিয়ে।
তৃণমূলের জয়জয়কার করছে সমগ্র ধুপগুড়ি এলাকা। সকাল আটটা থেকে শুরু হয়েছে ভোট গণনা হাতে ফলাফল আসে দুটোই।
এলাকাবাসী জয় বাংলা জয়, ধনী গাইছে এবং জলপাইগুড়ি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের বাইরে সবুজ রং উড়িয়ে জয় উদযাপন করছে।অষ্টম দফা শেষ হবার পর স্পষ্ট যে বিজেপিকে হারিয়ে ধুপগুড়ি বিধানসভা দখল তৃণমূলের
[
সপ্তম ও অষ্টম দফা
সপ্তম ও অষ্টম দফায় তৃণমূল যথাক্রমে ৩৮৩৩ ও ২৯৩১ ভোটে এগিয়ে।
জয়ের আনন্দে মাতোয়ারা ধূপগুড়ির তৃনমূল সমর্থকরা।
ষষ্ট দফা
ষষ্ঠ দফা শেষের পর জলপাইগুড়ি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ এর বাইরে তৃণমূল জয় ধ্বনির হুংকার ছাড়ছে।
ষষ্ঠ দফায় এগিয়ে তৃণমূল মোট ৩৭৯৩ ভোটে।
সমর্থকদের দাবি পদ্মফুল ছিড়ে পড়ে যাবে এইবার , বিজেপির 'জয় শ্রীরামের' পর 'জয় বাংলা' জয়ধ্বনি গাইছে তৃণমূল কর্মী সমর্থকরা।
২০১৬ এর পর আবার তৃণমূল মাথাছাড়া দিয়ে উঠবে বলে দাবি করছে সমর্থকগণ
সিপিএম কংগ্রেস জোট খুব স্বল্প আসন পেলেও বাকি দুই দলকে ছাপিয়ে যেতে পারেনি।শীর্ষে তৃণমূল ও বিজেপি।
সমানভাবে টক্কর দিয়ে চলেছে একে অপরকে, বাকি আর চারটি দফা, তারপরেই জানা যাবে কার টক্করে কত জোর।
পঞ্চম দফা
পঞ্চম দফায় আবার রায় বিজেপির পক্ষে। আবার এগিয়ে বিজেপি। এইবার মোট ৮০০ ভোটে এগিয়ে ভারতীয় জনতা পার্টি।
মোট পাঁচটি দফার মধ্যে বিজেপি প্রথম, দ্বিতীয় ও পঞ্চম দফায় এগিয়ে
। তৃতীয় ও চতুর্থ দফায় লিড করছে তৃনমূল। বাম-কংগ্রেস জোট এখনো পিছিয়ে।
শুরু থেকে একপাক্ষিক লড়াই হলেও তৃতীয় দফা থেকে লড়াই চলছে দ্বিপাক্ষিক কারণ এখনো পর্যন্ত কোন স্থান দখল করতে পারেনি বাম কংগ্রেস জোট।
আশার আলো দেখছে এই দুই দল শুরু থেকেই ত্রিপাক্ষিক যুদ্ধের বর্ণনা দিলেও খেলা শেষে কথা বলছে দুটো দল।
এখনো পর্যন্ত তিনটি দফায় বিজেপি এগিয়ে থাকলেও তৃতীয় ও চতুর্থ দফা অক্সিজেন সঞ্চার করেছে তৃণমূলীদের মধ্যে।
জনতার রায় কোন রায়ের পক্ষে খেলা শেষ না হলে কিছুই নিশ্চিত ভাবে বলা সম্ভব নয়।
চতুর্থ দফা
ধুপগুড়ি উপনির্বাচনের চতুর্থ দফায় এগিয়ে তৃণমূল। প্রথম দিকে বিজেপির জয়ধ্বনি শোনা গেলেও গল্পের মোড় ঘুরেছে চতুর্থ দফায়।
কিন্তু জয়ের পরিসংখ্যান এখনো বেশি গেরুয়া শিবিরের। সমর্থকদের উচ্ছ্বাসের জয়ধ্বনি ভেসে আসছিল বারবার,কিন্তু তারা এখন স্তব্ধ।
উপনির্বাচনের দিন মিতালী রায়ের করা মন্তব্য কে টেকা দিচ্ছে জোড়া ফুল, একতরফা জিত পেরিয়ে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই চলছে এই দফায়।
ফিরহাদ হাকিমের আশায় আলোর আলোর ছটা দেখতে পাচ্ছে তৃণমূল সমর্থকরা।
কিছুক্ষণ আগে পর্যন্ত গেরুয়াপক্ষ দাবি করেছে 'বাং
লা মেয়েকে ত্যাগ করে মোদিকে চাই।'
তবে এই দেখার পর কি আত্মবিশ্বাস ভাঙবে বিজেপির, নিশ্চিত জয়ের স্বপ্নে জল পড়ল এখন শুধু শেষ হাসির অপেক্ষা।
সবকিছু জবাব দেবে পরবর্তী ভোট গণনা প্রক্রিয়া।
তৃতীয়, ও দ্বিতীয় দফা
তৃতীয় চতুর্থ রাউন্ডের পরিসংখ্যান পাল্টে ফেলেছে তৃণমূল। আগের দফায় ১০১ ভোটে গিয়েছিল, কিন্তু এই দফায় ভোটের সংখ্যা আরো বেড়েছে।
দ্বিতীয় দফায় আড়াই হাজারের বেশি ভোটে এগিয়ে ছিল বিজেপি।
প্রথম দফা
শুরু হয়ে গেছে ধুপগুড়ি উপনির্বাচনের ভোট গণনা, নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে দেওয়া হয়েছে ধুপগুড়িকে। জলপাইগুড়ি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে চলছে ধুপগুড়ি উপনির্বাচনের গণনা।
প্রথমদিকে পোস্টাল ব্যলটে টিএমসি এগিয়ে থাকলেও পরে খেলা উল্টে দিয়েছে বিরোধী।
ইতিমধ্যেই ধুপগুড়ি উপনির্বাচনের প্রথম দফার ভোট গণনা শেষ হয়ে গেছে। এবং ফলাফলও হাতে এসে গেছে। প্রথম দফায় 1600 টি ভোটে ধুপগুড়িতে এগিয়ে রয়েছে ভারতীয় জনতা পার্টি।
বিজেপির শিবিরে চলছে জয়ের উচ্ছ্বাস।
সমর্থকরা এক সুরে 'জয় শ্রীরাম স্লোগান' তুলেছেন। একজন সমর্থক সংবাদ মাধ্যমকে জানান বানারহাট নিয়ে তারা আশঙ্কায় ছিলেন তবে প্রথম দফার ফলাফল যথেষ্ট স্বস্তি দিয়েছে।
চা বাগান সংলগ্ন এলাকা বানারহাট নিয়ে অনেকেই আশঙ্কায় ছিল যে ভোটাররা সঠিকভাবে ভোট দিতে সক্ষম হবে কিনা, তবে প্রথমেই আশঙ্কার মেঘ ঘাটালো বানারহাট।
তবে এখনো নটি দফার গণনা বাকি রয়েছে শেষ হাসি কে হাসবে, সেটা জানার জন্য উদ্বিগ্ন সকলেই।
Comments