বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে আজ সওয়াল-জবাবের সময় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই-এর পক্ষ থেকে জানানো হল, ‘বাংলার নিয়োগ দুর্নীতির খতিয়ান’ নাকি আমেরিকার ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারের মতই সুবিশাল এবং সুউচ্চ!'
মঙ্গলবার কলকাতা হাই কোর্টে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ও বললেন 'দুর্নীতির ট্রেড সেন্টার’ ভেঙে ফেলার কথা। আগামী ১১ সেপ্টেম্বর দুপুর ৩টের মধ্যে নিয়োগ দুর্নীতির খতিয়ান তাঁর এজলাসে পেশ করতে বলেছেন বিচারপতি।
নিয়োগ সংক্রান্ত একটি মামলার শুনানিতে ২০১৪ সালের টেটের ওএমআর শিটের তথ্য জানতে চান বিচারপতি। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই-এর পক্ষ থেকে তখনই উঠে আসে আমেরিকার ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টার প্রসঙ্গ।
এই বিষয়ে সিবিআইয়ের ডেপুটি সলিসিটর জেনারেল দাবি করেন, "ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারের সমান বিশাল দুর্নীতির খতিয়ান নিয়ে আমরা ১১ সেপ্টেম্বর এজলাসে এসে হাজির হব হুজুর।’’ জবাবে বিচারপতির পাল্টা মন্তব্য, ‘‘দুর্নীতি যদি ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারের সমান হয়, তা হলে সেটা অবিলম্বে ভেঙে ফেলা দরকার।’’
বস্তুত, এদিন নিয়োগ সংক্রান্ত একটি মামলা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে যায় সিবিআই। কুন্তল ঘোষের চিঠি সংক্রান্ত সেই মামলায় কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশ এবং তার পরবর্তীতে বিচারপতি অমৃতা সিংহের নির্দেশকে মনে করিয়ে দিয়ে তারা বলেছে, ‘‘যেখানে বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যেই তদন্ত চলছে, সেখানে নিম্ন আদালতের নির্দেশে আবার কলকাতা পুলিশ কুন্তলের চিঠি মামলায় হস্তক্ষেপ করছে কেন?’’
নিঃসন্দেহে, বিচারপতির এহেন মন্তব্যের পর আগামী সোমবারের শুনানি নিয়ে আগ্রহ তৈরি হয়েছে।
কারণ, বিচার গঙ্গোপাধ্যায় এই তদন্তকারী সংস্থার হাতেই একাধিক দুর্নীতি মামলার তদন্ত ভার দিয়েছেন।
Komentáře