যে সব পরীক্ষার খাতা সরাসরি বিশ্ববিদ্যালয়ে আসার কথা, তা আসতেও দেরি হচ্ছে। এমনকি, আদৌ না আসার ঘটনাও ঘটছে। ফলে স্নাতক স্তরের ফল প্রকাশে দেরি হচ্ছে। বার বার এমন ঘটনা ঘটায় সমস্যা মেটাতে এবার একটি কমিটি গড়ার সিদ্ধান্ত নিল কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়।
২০২৩ সালের নতুন সিবিসিএস পদ্ধতিতে যে কলেজে পরীক্ষার সিট পড়ে, সেখানকার শিক্ষকেরাই জেনারেল বিষয়ের খাতাগুলি দেখেন। খাতা দেখে কলেজের মাধ্যমে অনলাইনে বিশ্ববিদ্যালয়ে নম্বর পাঠানোই নিয়ম।
ইন্টারনাল ও টিউটোরিয়াল পরীক্ষার নম্বরও নির্দিষ্ট সময়ে অনলাইনে পাঠাতে হয়। শুক্রবার সিন্ডিকেটের বৈঠকে এ নিয়ে গাফিলতির অভিযোগ ওঠে। ইন্টারনাল ও টিউটোরিয়াল পরীক্ষা আদৌ হচ্ছে কি না, তা দেখতে বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে কলেজ গুলিতে প্রতিনিধি পাঠানোর দাবিও ওঠে সিন্ডিকেটের বৈঠকে।
পাশাপাশি, নম্বর পাঠানোর পরে জেনারেল বিষয়ের খাতাগুলি প্রধান পরীক্ষকের কাছে পাঠাতেও দেরি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ।
তবে সিবিসিএস পদ্ধতিতে অনার্সের খাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে এনে পরীক্ষকদের দেখতে দেওয়া হয়। পুরনো নিয়মের সাপ্লিমেন্টারি পরীক্ষাতেও একই নিয়ম রয়েছে। সূত্রের খবর, কলকাতার একটি কলেজ সাপ্লিমেন্টারি পরীক্ষার খাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে না পাঠিয়ে নিজেরাই দেখে ফেলেছে বলে অভিযোগ।
তাই এই বিষয়গুলি নিয়ে এবার কর্তৃপক্ষ নড়েচড়ে বসেছেন। শনিবার রেজিস্ট্রার দেবাশীষ দাস জানালেন, সব কিছু খতিয়ে দেখতে একটি কমিটি তৈরি করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। প্রয়োজনে কলেজগুলির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া যায় কি না, সে ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনও খতিয়ে দেখা হবে তাঁদের তরফে।
Comments