পুকুরে ভাসছে মরদেহ। মৃতের কানে আবার হেডফোন লাগানো। দক্ষিণ ২৪ পরগনার রাজপুর সোনারপুর এলাকায় অজ্ঞাত পরিচয় এক যুবকের মরদেহ উদ্ধারকে কেন্দ্র করে রীতিমত চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে গোটা এলাকায়।
এলাকার বাসিন্দাদের সন্দেহ, খুন করেই পুকুরে ফেলে দেওয়া হয়েছে ওই যুবককে। মৃতের দেহে মিলেছে অসংখ্য আঘাতের চিহ্ন। ঘটনাটি নেহাতই দুর্ঘটনা নাকি খুন তা খতিয়ে দেখছে নরেন্দ্রপুর থানার পুলিশ। দেহ উদ্ধারের পর এদিন সকালে দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু নরেন্দ্রপুর থানার পুলিশ।
এদিন সকালে রাজপুর সোনারপুর পুরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের শিমুলতলার মেন সড়কের পাশের জলাশয়ে একটি দেহ ভাসতে দেখতে দেখেন স্থানীয় বাসিন্দারা। সাত সকালে কয়েকজন সবজি বিক্রেতা ও দোকানদারের নজরে পড়ে দেহ। তারাই খবর দেন নরেন্দ্রপুর থানায়।
স্থানীয় বাসিন্দা অমর হালদার জানান, ‘‘এই এলাকায় প্রতি দিন বহিরাগতদের আনাগোনা বাড়ছে। সামনেই একটি বেসরকারি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ এবং স্কুল রয়েছে। এলাকায় সমাজবিরোধীদের দৌরাত্ম্য বৃদ্ধির বিষয়টি পুলিশ-সহ বিভিন্ন জায়গায় জানিয়েছি আমরা।’’
খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে আসেন স্থানীয় কাউন্সিলর মোফাজ্জেল হোসেন।বারুইপুর পুলিশ জেলার ডিএসপি মোহিত মোল্লা জানিয়েছেন, দেহ শনাক্ত করার প্রক্রিয়া চালিয়ে যাচ্ছেন পুলিশ আধিকারিকরা।
Comments