‘অ্যাকশন’ দেখতে মাঝরাত পর্যন্ত রুদ্ধশ্বাসে অপেক্ষা করছিল রাজ্যবাসী। শেষমেশ কী ‘অ্যাকশন’ নিলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস? এবার তা নিয়েই শুরু হয়েছে জোর রাজনৈতিক তরজা।
শনিবার রাত ১১টা ৪২ মিনিট নাগাদ রাজভবনের পক্ষ থেকে জানানো হয় রাজ্যপাল মুখবন্ধ একটি খামে গোপন বার্তা পাঠিয়েছেন নবান্নে। একই বার্তা গেছে কেন্দ্রীয় সরকারের। মুখবন্ধ সেই খামে কী বার্তা ছিল? তার কোনও সদুত্তর পাওয়া যায়নি রাজভবনের তরফ থেকে।
দিনকয়েক আগেই যাদবপুর-সহ একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ে অন্তর্বর্তী উপাচার্য নিয়োগ করতে মধ্যরাতকেই বেছে নিয়েছিলেন রাজ্যপাল তথা আচার্য সিভি আনন্দ বোস।
এদিন সকালে রাজ্যপালের এই পদক্ষেপকে 'তুঘলকি' আচারণ বলে তীব্র ভাষায় কটাক্ষ করেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। তাঁর কথার উত্তরে পাল্টা রাজ্যপাল বলেন,"আমি খুশি যে আমি এরকম আচরণ করছি। মধ্যরাত পর্যন্ত দেখুন, কী অ্যাকশন হয়।"
তারপরই ব্রাত্য বসুর টুইট,‘‘সাবধান! সাবধান! সাবধান! শহরে নতুন রক্তচোষা এসেছে। নাগরিকেরা দয়া করে সতর্ক থাকুন। ভারতীয় পুরাণ অনুযায়ী, ‘রাক্ষস প্রহরের’ জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করে আছি।’’
উল্লেখ্য, গত কয়েকদিন ধরেই দুই ভবনের মধ্যে সংঘাত প্রকট হয়ে উঠেছে। রাজ্যপালকে একের পর এক উপমা দিয়ে আক্রমণাত্মক হয়ে উঠেছিলেন শিক্ষামন্ত্রী। পাল্টা জবাব দিতেও পিছু হটেননি রাজ্যপাল। এখন প্রশ্ন হল, মুখবন্ধ খামে কী লিখে রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকারকে চিঠি পাঠিয়েছেন বোস? সরকারি ভাবে তাই কিছু না জানানো পর্যন্ত তাই জল্পনাই ভরসা। তবে কী কারণে এত গোপনীয়তা? চিঠির বিষয়বস্তু কী তবে ঝড় তুলবে রাজ্য রাজনীতিতে?
コメント