নবান্ন-রাজভবন সংঘাত এখনও জারি পুরোদমে। রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোসের 'চিঠি রহস্য'-র সমাধান হয়নি এখনও। মুখে কুলুপ নেতামন্ত্রীদের। জল্পনা, রাজ্যের শিক্ষাব্যবস্থার বেহাল দশার বিরুদ্ধে কড়া ভাষায় কেন্দ্রকে চিঠি লিখেছে রাজ্যপাল। নালিশ জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর বিরুদ্ধেও।
এবার বিতর্কের মাঝেই এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমে বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন রাজ্যপাল তথা আচার্য সি ভি আনন্দ বোস। তাতে আরও এক দফা পারদ চড়ল রাজ্য-রাজনীতিতে।
খামবন্দি চিঠি প্রসঙ্গে রাজ্যপাল বলেন, এটি 'গোপনীয়'। কিন্তু কেন পাঠালেন সেই চিঠি? সপাটে উত্তর দেন রাজ্যপাল। তিনি বলেন,"আমার কিছু জানানোর ছিল।"
ইতিপূর্বে, রাজ্য-রাজ্যপাল দ্বন্দ্বে রাজ্যপালের উদ্দেশ্যে ‘রক্তচোষা রাক্ষসের’ মতো শব্দবন্ধ ব্যবহার করেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু।
এই মন্তব্যের প্রসঙ্গে বোস বলেন, "মন্ত্রীদের বোঝা উচিত যে এরকম আক্রমণে ভারতের সংবিধানের অসম্মান হচ্ছে। তাঁরা তাঁদের মন্ত্রিসভার সহকর্মীদের এসবের জন্য দায়ী করছেন। তাঁরা যখন সাংবিধানিক প্রধান সম্পর্কে অসংসদীয় মন্তব্য করেন, তখন তাঁরা মন্ত্রী পরিষদে তাঁদের দলের নেতাকেও অপ্রয়োজনীয় বিতর্কে টেনে নিয়ে যাচ্ছেন।"
প্রসঙ্গত, দুই বোসের দ্বৈরথ এখন এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে, এবার হয়তো বিষয়টিতে সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীকে হস্তক্ষেপ করবেন। রাজ্যপাল বলেন,"মুখ্যমন্ত্রী বিদেশে যাচ্ছেন, আমি চাইনা তাঁকে এই বিষয়টি নিয়ে কোনো টেনশন দেওয়া হোক। বিদেশ সফরে থাকাকালীন তাঁর যেন চাপে না থাকেন। উনি ফিরে এলে আমরা আলোচনা করব।"
বস্তুত, শনিবার মধ্যরাতে শিক্ষামন্ত্রীর বিরুদ্ধে ‘অ্যাকশন’-এর হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন রাজ্যপাল বোস। সেই মোতাবেক, মাঝরাতের কিছু আগেই রাজভবনের তরফে জানানো হয়, রাজ্যপাল দুটি মুখবন্ধ খামে জোড়া চিঠি পাঠান নবান্ন ও দিল্লির উদ্দেশ্যে। সেই চিঠি ঘিরেই জল্পনা তৈরি হয়েছে সেই রাত থেকেও। নবান্নের তরফ থেকে অবশ্য এখনও কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি.
Comments