ধূপগুড়িতে উপ-নির্বাচনে সিপিএম প্রার্থী ঈশ্বরচন্দ্র রায় পেয়েছেন ১৩৭৫৮ ভোট, যা আগের চেয়ে ৬৫১টি ভোট বেশি। এই নিয়েই সিপিএম-এর আশাবাদীরা দেখাতে চাইছেন ২০১১ সালের ভোটের তুলনায় বেশি ভোট লাভ হয়েছে।
সিপিএম এর অনেকেই ৬৫১টি ভোটের বৃদ্ধিকেই সময় পাল্টানোর সংকেত হিসেবে দেখতে চাইছেন। যদিও এইসব লোক-দেখানো উৎসাহ প্রকাশ্যেআনলেও, সিপিএম নেতাদের অনেকেই এই ফলাফলে হতাশ।
নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক রাজ্য সম্পাদকের এক সদস্য কবীর সুমনের গানের লাইন তুলে বলেন, ‘‘হিসাব মেলানো ভার, আয় ব্যয় একাকার!’’
তিনি এও বলেন যে, ‘‘উত্তরবঙ্গে তৃণমূল-বিজেপির বাইনারি ভেঙে ফেলার মতো জোর আমাদের নেই। আাগামী দিনে হওয়ার সম্ভাবনাও দেখছি না।’’
শুক্রবার ভোটের ফলাফল প্রকাশের পর তিনি বলেন, ‘‘আমাদের আরও বেশি করে সংগঠনে নজর দিতে হবে।’’
উত্তরবঙ্গে একটা সময় সিপিএমের রাজ ছিল। উত্তর দিনাজপুরের ইটাহার, দক্ষিণ দিনাজপুরের কুশমন্দিরের মতো আসনে শরিক দল সিপিআই এবং আরএসপির-ও যথেষ্ট শক্তি ছিল। কিন্তু সেসব এখন অতীত।
সাত বছর আগে ২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনেও সিপিএম ধূপগুড়িতে ভোট পেয়েছিলো ৩৪ শতাংশের মতো।
বাস্তবের মাটিতে রাজনীতি করা অনেকেই সিপিএম-কে মনে করিয়ে দিতে চাইছেন, ধূপগুড়ির গ্রামীণ এলাকাগুলিতে দু’মাস আগের পঞ্চায়েত নির্বাচনে সিপিএমের ভোট ছিল ১২ শতাংশ। দু’মাসে সেটা অর্ধেক হয়ে গিয়েছে।
Коментарі