চন্দ্রযান-৩ যে ২০২৪-এর ভোটের তুরুপের তাশ করতে চাইছেন নরেন্দ্র মোদি তা নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই। বিরোধীদের কটাক্ষ মোদি ও বিজেপির অ্যাজেন্ডা এমনই যেন তাদের আমলেই মহাকাশ গবেষণার সফলতম দিনগুলি এসেছে এবং ইসরোর সাফল্য এবং স্থাপত্য সবটাই যেন মোদি ও বিজেপি সরকারের আমলেই হয়েছে । তবে এই অ্যাজেন্ডা যে সফল হবে না তা বার বার মনে করিয়ে দিচ্ছে কংগ্রেস। মল্লিকার্জুন খার্গের পর এবার মহাকাশ গবেষণার হাল হকিকত নিয়ে মুখ খুললেন জয়রাম রমেশ ।
'আত্মনির্ভর মহাকাশ গবেষণা' চেয়েছিলেন জওহরলাল'
মহাকাশ অনুসন্ধানে ভারতীয় সাফল্য আসলে জওহরলাল নেহরুর দূরদর্শিতার ফল, দাবি করছে কংগ্রেস। প্রাক্তন কেন্দ্রিয়মন্ত্রী জয়রাম রমেশের বক্তব্য, - নেহরু ও ইন্দিরা গান্ধী চেয়েছিলেন, সাধারণ ভারতীয় সমাজ দ্বারা আগামীর গবেষনা ও ডিজাইন নিয়ন্ত্রণ হোক। তারই ফল হিসেবে ভারতীয় বিজ্ঞানীদের সাফল্য এই ইসরোর চন্দ্র-মিশন।
কংগ্রেস দাবি করেছে, নেহরুর দূরদর্শিতায় ভারত সমৃদ্ধ হয়েছে। জয়রাম রমেশ উল্লেখ করেন, - ১৯৬২ সালে ইসরোর প্রাথমিক জন্মকালে নেহরু ইনকস্পার (INCOSPAR) স্হাপন করেন। এর এর আগের বছর পাকিস্তান সুপার্কো (SUPARCO) স্হাপন করে।
রমেশ আরো বলেন, তৎকালীন আমেরিকা ও সোভিয়েতের দ্বন্দ্বের মাঝে স্বনির্ভরতা চেয়েছিলেন নেহরু। আর সে লক্ষ্যের দিক নির্দেশ ও পরিচালনার দায়িত্ব বর্তায় বিজ্ঞানী হোমি জাহাঙ্গীর ভাবা, বিক্রম সারাভাই, সতীশ ধাওয়ান সহ কয়েক জনের ওপর।
মহাকাশ গবেষণার পরিকাঠামো বানানোর প্রকল্প হাতে নেওয়ায় দরিদ্র দেশের নেহরু-সরকার তীব্র সমালোচিত হয়েছিল, - বলে মন্তব্য করেন কংগ্রেস নেতা। তার মতে, - একটি বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিভঙ্গি ও প্রয়োগে স্বনির্ভর জাতি হিসেবে গড়ে ওঠার গর্ব আজ অতীতের নানান সিদ্ধান্ত ও উদ্যোগের ফল।
Comments