top of page

তমলুকে চিটফান্ডের ফাঁদ, লক্ষ লক্ষ টাকা হাওয়া আম জনতার


সারদা, রোজভ্যালি কেলেঙ্কারির পরেও হুঁশ ফেরেনি মানুষের। আবার চিটফান্ডে টাকা রেখে সর্বস্বান্ত হল বেশ কয়েকশো আমানতকারী।তমলুকে গ্রাহকদের কাছ থেকে কোটি কোটি টাকা তুলে ঝাঁপ বন্ধ করে উধাও চিটফান্ড সংস্থার কর্মকর্তারা। সর্বস্বান্ত কয়েকশো আমানতকারী।


তমলুক থানার রামতারক হাটে ব্যবসায়ী সমিতির একটা অফিস নিয়ে একটি 'বন্ধন মাল্টি স্টেট কোপারেটিভ সোসাইটি লিমিটেড' নামে এক চিটফান্ড সংস্থা কয়েক কোটি টাকা প্রতারণা করে গা ঢাকা দিয়েছে বলেই জানা যাচ্ছে।


রামতরক বাজার, কাঁকটিয়া বাজার, মেছেদা সহ বিভিন্ন হাট বাজারে ব্যবসায়ী সমিতির অফিসঘর ভাড়া নিয়ে চলছিল এই চিটফান্ড ব্যবসা।সমিতির অফিসে তালা ঝুলিয়ে দিয়েই সংস্থার কর্মকর্তারা চম্পট দিয়েছে বলে অভিযোগ।


জানা গেছে, বছর চারেক আগে কয়েকজন ব্যক্তি মিলে রামতারকহাট বাজার ব্যবসায়ী সমিতির দ্বিতল ভাড়া নিয়েছিল।সেই ভাড়া বাড়িতেই গড়ে তোলা হয় চিটফান্ড অফিস। ১০ বছরের জন্য ১১ শতাংশ সুদের টোপ দিয়ে তমলুক এবং শহিদ মাতঙ্গিনী ব্লকের বিস্তীর্ণ এলাকা থেকে টাকা তোলা হয়।


চিটফান্ড অফিস তৈরির নেপথ্যে সিপিএমের কয়েকজন নেতা সক্রিয় ভূমিকা নিয়েছিলেন বলে অভিযোগ উঠেছে।

রামতারক হাটের ব্যবসায়ী সমিতির বক্তব্য, এপ্রিল মাস থেকে ভাড়া বকেয়া। আমরা অফিসের দখল নেওয়ার জন্য পুলিসের সঙ্গে যোগাযোগ করছি।স্থানীয় বহু দোকানদার টাকা রেখে সর্বস্বান্ত হয়েছেন বলে অভিযোগ।


সূত্রে খবর, ওই চিটফান্ড অফিস বন্ধ হওয়ার পর সংস্থার ম্যানেজার অসীম খাটুয়ার বাড়িতে হামলা চালান প্রতারিত আমানতকারীরা। আতঙ্কে এলাকাছাড়া ম্যানেজার।


এদিকে, চিটফান্ড সংস্থার সঙ্গে সিপিএমের নাম জোড়ানো নিয়ে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা সিপিএম জেলা সম্পাদক নিরঞ্জন সিহি বলেন, দলকে কালিমালিপ্ত করার চেষ্টা চলছে। পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছেন প্রতারিতরা!

Bình luận


bottom of page