বাংলায় বিজেপির রাহুদশা যেন আর কাটতেই চাইছে না। বিজেপি-র নিচু মহলের কর্মীরা যে ক্রমশ বিজেপি-র নেতা-নেত্রীদের প্রতি বিক্ষুব্ধ হচ্ছে, তা আর কারোরই অজানা নয়।
এই বিক্ষোভকে শিলমোহর দিতেই বিজেপির বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলা কার্যালয়ে কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সুভাষ সরকারকে তালা দিয়ে ঘরেতে বন্দি করে রেখে বিক্ষোভে ফেটে পড়লো বিজেপির একাংশ।
বিক্ষোভকারীদের বাধা দিতে গেলে বিজেপির বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলা সভাপতি সুনীল রুদ্র মণ্ডলকেও মারধর করা হয়।
মঙ্গলবার বিজেপির বাঁকুড়া সাংগঠনিক জেলা কার্যালয়ে দলের জেলা নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠক করছিলেন কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী তথা বাঁকুড়ার বিজেপি সাংসদ সুভাষ সরকার। সেই সময়েই হঠাৎ সেখানে হাজির হন বিজেপির এক দল কর্মী।
কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রীর বিরুদ্ধে স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগে সোচ্চার হয় বিক্ষোভকারীরা। এবং বিক্ষোভ চলাকালীনই যে ঘরে বৈঠক চলছিলো, সেই ঘরটির দরজায় তালা লাগিয়ে দেনতাঁরা।
‘সুভাষ সরকার দূর হটো’ স্লোগান তুলে বিক্ষোভ চলতেই থাকে।
বিজেপি কর্মীদের দাবি, সুভাষ সরকার দল পরিচালনার ক্ষেত্রে স্বেচ্ছাচারিতা চালাচ্ছেন। কাছের লোকেদের দলের পদ পাইয়ে দেওয়া হচ্ছে।
বিক্ষোভকারীদের বাধা দিতে গেলে আক্রান্ত হন বিজেপির বাঁকুড়া সাংগঠনিক জেলা সভাপতি সুনীল রুদ্র মন্ডল। তাকে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ।
ঘটনাটিকে কেন্দ্র করে বিজেপির বাঁকুড়া সাংগঠনিক জেলা কার্যালয়ে যে বিক্ষোভ, সেই বিষয়ে বিজেপির জেলা নেতৃত্বের দাবি, বিক্ষোভকারীরা কেউই বিজেপির কর্মী নন। তৃণমূলের উস্কানিতে বিক্ষোভকারীরা এই কাণ্ড করেছে।
প্রশ্নটা এখানেই। উটপাখি ভয় পেলে মাটিতে মুখ গুঁজে ভাবে সে নিরাপদ। বিজেপি-র আভ্যন্তরীণ গোলযোগেও যদি তৃণমূলকে দোষের ভাগীদার করা হয়, তাহলেও কি পশ্চিমবঙ্গে বিজেপি নিজের অস্তিত্ব বজায় রাখতে পারবে?
コメント