প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিত গঙ্গোপাধ্যায় থেকে তাপস রায়। কখনও তৃণমূলের ঘরে ভাঙন ধরিয়ে হেভিওয়েট নেতার ফুল বদলে , তো কখনও আবার শাসক বিরোধী প্রাক্তন বিচারপতিকে দলে এনে নিজেদের শক্তিবৃদ্ধি করছে বিজেপি। বিজেপির পাখির চোখ ২০২৪ লোকসভায় বাংলায় ৪২ আসন। টার্গেট বেঁধেছেন খোদ মোদিই। তবে বিজেপির অন্দরেও কী সব ঠিক ঠাক চলছে? রাজমৈতিক মহলের একাংশের দাবি উত্তরবঙ্গ, মতুয়া ও আদিবাসী এলাকায় সম্পতি জোর ধাক্কা খেয়েছে পদ্ম শিবির।
বাংলার মতুয়া বেল্টের বিজেপি বিধায়ক মুকুটমণি অধিকারি সদ্য ফুল বদলে তৃণমূলে। রানাঘাট দক্ষিণের দলত্যাগী বিধায়কের গলায় চড়া সুর। জঙ্গলমহল ও আদিবাসী বেল্টের বিজেপি সাংসদ এবার টিকিট না পাওয়ায় বেসুরো হয়ে তৃণমূলে। ঝাড়গ্রাম সিটে পদ্ম শিবিরের টিকিটে জিতে সাংসদ হন কুনার হেমব্রম। এলাকায় বিজেপির হাওয়া বাড়িয়ে ৪৬ শতাংশ ভোট পেয়েছিলেন। ঝাড়গ্রামে জোড়াফুল শিবিরকে হারানোর অন্যতম কারিগর ছিলেন কুনার বলেও দাবি করেছিল রাজ্য বিজেপি। তবে এবার পদ্ম শিবিরের লোকসভা ভোটের প্রথম তালিকায় নিজের নাম না দেখে দল ছেড়েছেন তিনি
এদিকে উত্তরে ক্রমশ চাপ বাড়াচ্ছেন জন বার্লা। প্রথম তালিকায় যে ২০ জনের নাম প্রকাশ করা হয়েছে বিজেপির পক্ষ থেকে তাতে নাম নেই তাপ। তবে নাম রয়েছে মনোজ টিগ্গার। আলিপুরদুয়ারে প্রার্থী করা হয়েছে তাকে। আর তাতেই বার্লার অনুগামীদের মধ্যে অসন্তোশ বাড়ছে।যদিও জন বার্লা নিজেকে এই বিতর্ক থেকে এখনও অবদি দুরেই রেখেছেন। বিজেপির রাজ্য নেতৃত্ব অবশ্য বলছে, কুচ পরওা নেই।
অভিজিত বন্দ্যোপাধ্যায়কে সামনে রেখে যখন বাহুবল দেখাচ্ছে বিজেপি তখনই প্রাক্তণ বিচারপতির বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে গেলেন খোদ আন্দোলনরত চাকরিপ্রার্থীরাই। যারা এতদিন ছিল পদ্ম শিবিরের খুবই কাছের। পাহাড়, মতুয়া, আদিবাসী। এই তিন বেল্টের তিন জনপ্রনিধীর চাপে বেগ পাচ্ছে বিজেপি। তার ওপর প্রধাণমন্ত্রীর গত তিনটি জনসভাতেও বিন্দুমাত্র উল্লেখ নেই সিএএ-র। অনেকেই বলছেন এতে ক্ষোভ বাড়ছে মতুয়া মহলেও। বাইরে বাহুবল দেখালেও অন্দরে অন্দরে যে পদ্নশিবিরে চাপ বাড়ছে তা নিয়ে কোনও শংসয়ই রাখছে না রাজনৈতিক মহল
Comments