উত্তর ২৪ পরগনার বনগাঁ পঞ্চায়েত সমিতির তৃণমূল কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি অনিমা মণ্ডলকে মারধর করে মাথা ফাটিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠল তৃণমূল কংগ্রেসের ২০২৩ সালের পঞ্চায়েতের প্রার্থী প্রেমচাঁদ সরকার ও তার লোকজনের বিরুদ্ধে ।
প্রেমচাঁদ সরকার বনগাঁ পঞ্চায়েত সমিতি বর্তমান সহ-সভাপতি জাফর আলী মন্ডল এর অনুগামী বলে অভিযোগ অনিমা মণ্ডলের । ২০২৩ এর পঞ্চায়েত নির্বাচনে গঙ্গানন্দপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ৯৫/৬ নাম্বার পাঁচবেড়িয়া গ্রামে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী হিসেবে দাঁড়িয়েছিলেন প্রেমচাঁদ সরকার ।
অভিযোগ প্রেমচাঁদ সরকার হেরে যাওয়ার পর থেকেই অনিমা মণ্ডলকে নানাভাবে হেনস্থা করতে থাকে জাফর আলী মণ্ডল এর লোকজন । অনিমা মন্ডলের অভিযোগ জমি জমা নিয়ে সমস্যাকে কেন্দ্র করে আজ তাদের উপরে চড়াও হয়, প্রেমচাঁদ সরকার সহ তার লোকজনের ।
তাঁকে যখন মারধর করে তখন ঠেকাতে গেলে তার ছেলে বৌমাকেও মারধর করে বলে অভিযোগ । অনিমা মণ্ডল বর্তমানে বনগা মহাকুমা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ।
অনিমা মণ্ডল এই বিষয়ে মৌখিকভাবে গোপালনগর থানায় অভিযোগ জানালে গোপালনগর থানার পুলিশ ভবেশ সরকার নামে একজনকে গ্রেপ্তার করে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে ।
এই বিষয়ে বর্তমান বনগাঁ পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি জাফর আলী মণ্ডল বলেন এটা কোন রাজনৈতিক গন্ডগোল নয় । পাশাপাশি দুটো পরিবারের সীমানা নিয়ে বিবাদের কারণে মারামারিতে জড়িয়ে পড়েছিল । দুটো পরিবারই প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েছে তদন্ত করে প্রশাসন সঠিক ব্যবস্থা নেবে ।
যদিও বনগাঁ জেলা বিজেপি সভাপতি দেবদাস মন্ডল তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল বলে দাবি করেছেন । চারবারের পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য দুবারের পঞ্চায়েত সমিতি প্রাক্তন সভাপতি তাকে দলের লোকই হেনস্থা করছে । এটাই তৃণমূলের কালচার ।
ফোনে গোষ্ঠী কোন্দলের কথা উড়িয়ে দিয়েছেন বনগাঁ জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি বিশ্বজিৎ দাস । তিনি বলেন এটা কোন রাজনৈতিক বিষয় নয় দুটি পরিবারের সীমানা নিয়ে বিপদের কারণে এই গন্ডগোল।
Comentarios