top of page

'যাদবপুরের নাম হোক স্বপ্নদীপ বিশ্ববিদ্যালয়' - বগুলা হাসপাতালের নাম বদলাতেই বিক্ষোভ গ্রামবাসীদের

Writer's picture: Jaita Chowdhury, WTNJaita Chowdhury, WTN


যাদবপুরের ছাত্র মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত ছিল বিশ্ববিদ্যালয় চত্বর। সেখানের পরিস্থিতি একটু ঠাণ্ডা হতেই এবার উত্তপ্ত নদিয়া। মৃত ছাত্রের নামে নদিয়ার বগুলা গ্রামীণ হাসপাতালের নতুন নামকরণ হতেই শুরু হল বিক্ষোভ।


গ্রামবাসীদের দাবি, মৃত ওই ছাত্রের নামে হাসপাতালের নামকরণ করা যাবে না। কেন গ্রামীণ হাসপাতালের সামনে থেকে 'বগুলা' নামই সরিয়ে দেওয়া হল? তাঁদের যুক্তি, মৃত ছাত্রের স্মৃতি রক্ষার্থে কেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম বদলে ফেলা হচ্ছে না? এরপরই হাসপাতালের নতুন নাম রঙ দিয়ে মুছে ফেলেন এলাকাবাসী।


৯ অগস্ট যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের মেন হস্টেলে বাংলা বিভাগের প্রথমবর্ষের এক ছাত্রের অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়। সেই মৃত্যুর তদন্তে নেমে উঠে আসে র‍্যাগিং তত্ব। মৃত ছাত্রের বাড়ি নদিয়ার বগুলায়। দিনকয়েক আগে মৃত ছাত্রের বাবা-মা মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেন নবান্নে। মৃতের মাকে চাকরি দেওয়ার কথা ঘোষণা করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান,বগুলা গ্রামীণ হাসপাতালের নাম পরিবর্তন করে মৃত পড়ুয়ার নামে নামকরণ করা হবে ওই হাসপাতালের।


সোমবার রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরের তরফ থেকে একটি গেজেট প্রকাশ করে নামবদলের প্রক্রিয়া শুরু হয়। নীল রং দিয়ে লেখা হয় হাসপাতালের নতুন নাম। এরপরই বিক্ষোভে ফেটে পড়েন স্থানীয়রা।

এক বিক্ষোভকারীর দাবি, "প্রয়োজন হলে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তন করা হোক। কোনও ভাবেই হাসপাতাল থেকে ‘বগুলা’ নাম বাদ দেওয়া যাবে না।" তাঁদের কথায়, ওই হাসপাতালের সঙ্গে বগুলার মানুষের আবেগ জড়িয়ে আছে। প্রয়োজনে হাসপাতালের অন্য কোনও ভবন তৈরি করে নামকরণ করা হোক।


হাসপাতাল সুপার বীরেন মজুমদার জানিয়েছেন, তাঁর কাছে আসা নির্দেশ অনুযায়ী তিনি কাজ করেছেন। তিনি জানান, "স্বাস্থ্য দফতর থেকে যে নির্দেশিকা এসেছিল, সেই অনুযায়ী কাজ করেছি। কেউ নাম মুছে দিলে আমাদের কিছু করার নেই। তবে এই ঘটনা না হলেই ভাল হত।"

Comments


bottom of page