top of page

প্রত্যাখ্যান করার উপায় নেই, বর্ধিত বেতন নিতেই হবে গেরুয়া শিবিরকে

Writer's picture: Jaita Chowdhury, WTNJaita Chowdhury, WTN

চলতি মাসের শুরুর দিকে বিধানসভায় বিধায়কদের বেতন বৃদ্ধির সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই ঘোষণার পরেই বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছিলেন, বর্ধিত বেতনের কানা কড়িও নেবে না গেরুয়া শিবিরের বিধায়করা। এই প্রসঙ্গে আইনি খোঁজখবর নেওয়ার পর বিজেপির পরিষদীয় দল জেনেছে, বর্ধিত বেতন না নেওয়ার কোনো আইন বিধানসভায় নেই। তাই অনিচ্ছা সত্বেও বর্ধিত বেতন নিতেই হবে বিধায়কদের।


বস্তুত, গত বৃহস্পতিবার মুখ্যমন্ত্রী জানান, মন্ত্রী থেকে বিধায়ক সব স্তরের আম্লাদের বেতন ৪০ হাজার টাকা করে বর্ধিত করেছে সরকার। অর্থাৎ, বেতন কাঠামো অনুযায়ী আমলাদেত বেতন প্রতি ,আসে ১০ হাজার টাকা থেকে বেড়ে হল ৫০ হাজার। প্রতিমন্ত্রীরা এতদিন ১০ হাজার ৯০০ টাকা করে পেতেন। এখন থেকে তাঁদের বেতন বর্ধিত হয়ে হল ৫০ হাজার ৯০০ টাকা। এ ছাড়া, পূর্ণমন্ত্রীদের বেতনও ১১ হাজার থেকে বেড়ে হবে ৫১ হাজার।


রাজ্যের বিরোধী দলনেতা এবং প্রতিমন্ত্রী, পূর্ণমন্ত্রীরা একাধিক ভাতা মিলিয়ে যত টাকা পেতেন, তা এক ধাক্কায় বেড়ে হয়েছে দেড় লক্ষ টাকা। উল্লেখ্য, মুখ্যমন্ত্রীর এই বর্ধিত বেতনের প্রস্তাব শুনেই বিধানসভার অধিবেশন কক্ষত্যাগ করে বেরিয়ে গিয়েছিলেন বিজেপি বিধায়কেরা। এ প্রসঙ্গে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দুকে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি সাফ জানান বর্ধিত বেতন গেরুয়া শিবিরের একজন বিধায়কও নেবেন না। তবে বিধানসভার এক আধিকারিক জানিয়েছেন, এটি মুখ্যমন্ত্রীর সিদ্ধান্ত। যেহেতু, তিনি বেতন বাড়িয়েছেন, তাই সেই বেতন সব বিধায়ককে নিতেই হবে। যদি মুখ্যমন্ত্রী বেতন না বাড়িয়ে ভাতা বাড়াতেন, সেক্ষেত্রে কৌশলে ভাতা প্রত্যাখ্যান করতে পারতেন গেরুয়া শিবির।



Comentarios


bottom of page