বীরভূম এবং পূর্ব মেদিনীপুরের পুলিশ যৌথ অভিযান চালিয়ে মায়ানমারের সেই ছাত্রকে ওড়িশা সীমান্ত থেকে উদ্ধার করেছে।
সেখান থেকে গ্রেফতার করা হয় সেই ছাত্রকে অপহরণ করা আট জনকে। যারা পূর্ব মেদিনীপুরের বাসিন্দা। এছাড়াও গ্রেফতার হয় বীরভূমের চার জন। মোট ১২ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রের জানা গিয়েছে, বিশ্বভারতীর বিদেশি পড়ুয়াকে অপহরণের ঘটনায় কোটি কোটি টাকার আদানপ্রদানের তথ্য উঠে এসেছে।
ঘটনায় নেমে পুলিশ জানতে পারে সেই পড়ুয়া চুল কেনাবেচার ব্যাবসার মধ্যে জড়িয়ে ছিল। সেই ব্যাবসায় টাকা পয়সা নিয়ে গোলমালের কারণে তাকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়।
জেলার পুলিশ সুপার রাজনারায়ণ মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘এই ঘটনায় মোট ১২ জন গ্রেফতার হয়েছেন। ধৃতদের মধ্যে চার জন বীরভূম জেলার বাসিন্দা। তিন জন দুবরাজপুরের এবং এক জন নানুরের। বাকি আট জন পূর্ব মেদিনীপুরের। বিশ্বভারতীর ওই পড়ুয়াকে সুস্থ অবস্থাতেই উদ্ধার করা হয়েছে। তাঁকে জেলায় নিয়ে আসা হচ্ছে।’’
পূর্ব মেদিনীপুরের পুলিশ সুপার সৌম্যদীপ ভট্টাচার্য বলেছেন , ‘‘পূর্ব মেদিনীপুর এবং বীরভূম পুলিশের যৌথ অভিযানে ওড়িশা সীমান্ত থেকে আট জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বীরভূমের পুলিশ তদন্ত করছে।’’
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, মায়ানমারের ওই ছাত্র ২০১৫ সাল থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করছে। বর্তমানে সে সংস্কৃত বিভাগের পিএইচডি স্কলার। ইন্দিরাপল্লিতে একটি এক তলা বাড়ি ভাড়া নিয়ে ওই ছাত্র এবং তাঁর এক বন্ধু থাকে।
অভিযোগ করা হয়, ১২-১৪ জন একাধিক গাড়িতে করে এসে ওই বিদেশি পড়ুয়াকে অপহরণ করেন। তদন্তকারীদের সূত্রে খবর, দুবরাজপুরের যে তিন জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে, তাঁদের নাম আজারউদ্দিন মির্ধা, শেখ আলাউদ্দিন এবং আতাউল্লা শেখ। তাঁরা এলাকায় চুলের ব্যবসা করতেন। বিদেশি ছাত্রটিও তাঁদের সঙ্গে কাজ করতেন। তাঁরা সকলেই কাজ করতেন পূর্ব মেদিনীপুরের এক চুলের কারবারির অধীনে।
ধৃতদের জিজ্ঞসাবাদ করে পুলিশ জেনেছে, বিদেশি পড়ুয়ার ছয় কোটি টাকা দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তিনি দিয়েছিলেন পাঁচ কোটি ৫০ লক্ষ টাকা। বাকি ৫০ লক্ষ টাকা নিয়ে গোলমাল হয়।
Comentarios