হাজার হাজার লিটার দুধ নষ্ট করে দেওয়ার খবর প্রকাশ্যে আসতেই নড়েচড়ে বসল ভাগীরথী দুগ্ধ সমবায় সমিতি কর্তৃপক্ষ। দুগ্ধ উৎপাদক সমিতিগুলিকে ম্যাসেজ করে জানানো হয় তাদের থেকে যে পরিমান দুধ নেওয়া হয় সেই পরিমান দুধ নেওয়া হবেনা। দুধের পরিমান কমিয়ে দেওয়া হয়েছে।
কিন্তু এই নয়া নিয়ম মানতে নারাজ দুগ্ধ চাষিরা। তাদের দাবি ব্যবসায়ীদের থেকে যে দুধ নেওয়া হচ্ছে সেই দুধ নেওয়া বন্ধ করে দুগ্ধ চাষিদের থেকে দুধ নিতে হবে। যদিও এই বিষয়ে মুখ খুলতে চায়নি ভাগীরথী দুগ্ধ সমবায় সমিতি কর্তৃপক্ষ।
দুগ্ধ চাষি মটর ঘোষ বলেন, দুধ দেওয়ার জন্য ভাগীরথী দুগ্ধ সমবায় সমিতি আমাদের কোটা বেধে দিয়েছে। অতিরিক্ত দুধ থাকা সত্ত্বেও আমরা দুধ দিতে পারছিনা। দুগ্ধ উৎপাদক সমিতির সদস্য পার্থ ঘোষ বলেন, আগে আমরা ১৩৫লিটার দুধ দিতাম কিন্তু ম্যাসেজ করে জানানো হয়েছে ৮৫ লিটার করে দুধ দিতে হবে। ভাগীরথী দুগ্ধ সমবায় সমিতির এই খামখেয়ালিপনায় নতুন নতুন নিয়মে আমাদের খুব সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। আমরা চাই এর বিরুদ্ধে বৃহত্তর আন্দোলন হোক।
মুর্শিদাবাদ দুগ্ধ উৎপাদক সংঘের সম্পাদক পীযূষকান্তি ঘোষ বলেন, আমাদের দুগ্ধ উৎপাদক সমিতিকে ম্যাসেজ করে জানানো হয়েছে মাত্র ৯৭ লিটার দুধ নেওয়া হবে। অথচ বাইরের ব্যবসায়ীদের থেকে প্রচুর পরিমানে দুধ নেওয়া হচ্ছে। আমরা এটা মেনে নেব না। এর বিরুদ্ধে আমরা বৃহত্তর আন্দোলনে নামবো।
コメント