বাংলার বামেদের ষাটের দশকের শুরু থেকে ৭০ এর দশকের শেষ পর্যন্ত সময়ের স্লোগান ছিল জোতদার জমিদারদের বিরুদ্ধে। আবারো ১০০ দিনের কাজ এবং বকেয়া বেতনের দাবি নিয়ে নরেন্দ্র মোদির বিরুদ্ধে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও সেই শব্দ উচ্চারিত করছেন 'জমিদার জমিদারি'।কেন্দ্রীয় সরকার থেকে শুরু করে রাজ্যপাল সকলের বিরুদ্ধেই অভিষেক এই 'জমিদারি' শব্দটি ব্যবহার করেছেন। দিল্লির যন্তর মন্তর থেকে শুরু করে কৃষি ভবন তারপর জিএমবি পুলিশ লাইন এবং তারপরে কলকাতার রাজভবনের সামনে রেড ক্রস প্লেসের ধর্না মঞ্চের স্লোগান একটাই জমিদারি মানবো না। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় গত ২ অক্টোবর থেকে ৬ অক্টোবর পর্যন্ত অজস্র বার এই জমিদারি শব্দটি ব্যবহার করে বিজেপি তথা কেন্দ্রীয় সরকারকে বিদ্ধ করতে চেয়েছেন। সেই জমিদারি শব্দের জায়গায় কখনো বসানো হচ্ছে নরেন্দ্র মোদিকে কখনো গিরিরাজ সিংহকে কখনো নিরঞ্জন জ্যোতিকে আবার কখনো রাজ্যপালকে।
এদিকে সুকান্তর বার্তা অভিষেককে বিজেপির দফতরে এসে মন্ত্রীকে স্মারকলিপি দিয়ে যাক বৈঠকও করুক। তিনি বলেন,যে প্রতিমন্ত্রী নিরঞ্জন জ্যোতির সঙ্গে দেখা করতে চাইলে ব্যবস্থা করে দেবেন। বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার এমনটাই জানালেন শনিবার। কিন্তু তার একটি শর্ত আছে। তৃণমূল প্রতিনিধিদের আসতে হবে বিজেপির দফতরে।এদিকে মঙ্গলবার অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সহ দলের প্রতিনিধিদের সঙ্গে দিল্লির কৃষি ভবনে সঙ্গে দেখা করেননি নিরঞ্জন জ্যোতি। তৃণমূলের অভিযোগ তাদের মন্ত্রীদের দীর্ঘ ক্ষণ বসিয়ে রাখার পর তার দফতরের পেছনের দরজা দিয়ে তিনি বেরিয়ে গিয়েছিলেন। এখান থেকে তিনি বেরিয়ে যাওয়ার পর তৃণমূলে নেতৃত্বকে কৃষি ভবনের ভেতর থেকে পুলিশ আটক করে তুলে নিয়ে যায়। তৃণমূলের দাবি, তারা সেখানে পৌছানোর আগেই বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে দেখা করেছিলেন নিরঞ্জন জ্যোতি। যা নিয়ে তৃণমূল নেতৃত্ব এবারে অভিযোগ করে আঙুল তোলেন। শুভেন্দু সঙ্গে দেখা করার তার সময় হয়েছিল। কিন্তু তাদের সঙ্গে দেখা করেননি মন্ত্রী।
শনিবার সকাল সাড়ে এগারোটা নাগাদ কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রীর কলকাতায় আসার কথা বিজেপির তরফ থেকে জানানো হয়েছে, দুপুর ১টায় সেক্টর ফাইভের দপ্তরের নিরঞ্জন জ্যোতির সাংবাদিক বৈঠক হবে।এর আগে দিল্লিতে বসেই নিরঞ্জন জ্যোতি জানিয়েছিলেন,কেন তিনি দেখা করেননি অভিষেকদের সঙ্গে। কেন তাদের সময় দিও দেখা করেননি। সেটি তিনি বলেছিলেন ব্যাখ্যা করে। নিরঞ্জন যদি বলেছিলে না যেটা আমি জানতাম না তাতে তৃণমূলের সংশোধন মন্ত্রীরা আমার সঙ্গে ছটার সময় দেখা করতে আসবেন।সেজন্যই সময় নিয়েছিলেন তারা কিন্তু পরে সাধারণ জনতাকে নিয়ে তারা দেখা করতে চেয়েছিলেন যা অফিসের নিয়মের বিরুদ্ধে। তার দাবি আসল বিষয় নিয়ে আলোচনার উদ্দেশ্য ছিল না। তৃণমূলের তৃণমূলের উদ্দেশ্য ছিল রাজনীতি করা। এরপর তিনি বলেন অভিষেককে বাঁচাতেই ১০০ দিনের কাজের দুর্নীতির তদন্ত করেনি বাংলার সরকার।এবার নিরঞ্জন জ্যোতির বক্তব্য রাজ্যে এসে রাখতে পারেন।
Comments