top of page

বিজেপি-র অনুপম হুঁশিয়ারি, ‘সংসদে হাতাহাতি করে বিরোধী কণ্ঠস্বরকে রুদ্ধ করা হোক’ টুইট বিজেপি নেতার


আজ রবিবার সকালে নিজের ফেসবুক অ্যাকাউণ্টে একটি চাঞ্চল্যকর প্রস্তাব দেন প্রাক্তন বিজেপি সাংসদ অনুপম হাজরা।


সমাজ মাধ্যমে আজকের পোস্টে তিনি লেখেন, “সংখ্যাগরিষ্ঠতার সুযোগ নিয়ে পুরসভার অধিবেশন চলাকালীন বিজেপি জনপ্রতিনিধিদের যদি মারধোর অবধি হতে পারে, তাহলে আমাদের সংখ্যাগরিষ্ঠতার কথা মাথায় রেখে আগামী লোকসভা অধিবেশন চলাকালীন তৃণমূলীদের প্রতি ঠিক একই প্রথা প্রয়োগ করলে মন্দ কি???!!!”


উল্লেখ্য, গতকাল শনিবার কলকাতা পুরসভায় বিজেপির কাউন্সিলরদের সঙ্গে তৃণমূলের কাউন্সিলরদের হাতাহাতি হয়। সেই মারামারি থামাতে গিয়ে রীতিমত হিমশিম খেতে হয় মেয়র ফিরহাদ হাকিমকে।


পরিস্থিতি সামাল দিতে না পেরে অধিবেশন কক্ষ ত্যাগ করেন চেয়ারপার্সন মালা রায়।


সংবাদে প্রকাশ, বিজেপির তরফে টেন্ডার দুর্নীতি সংক্রান্ত একটি প্রস্তাব তোলবার পরে ঝামেলা শুরু হয়। তৃণমূল সূত্রের দাবি, সজলই গালিগালাজ করেছেন। যার প্রতিবাদে তৃণমূলের কাউন্সিলরা টেবিল বাজাতে শুরু করেন। ধাক্কা দেন সজলকে।


পরে বিজেপির আনা প্রস্তাব নিয়ে মেয়র বলতে উঠলে অধিবেশন কক্ষ ত্যাগ করে বিজেপি।


এই ঘটনা থেকে কয়েকটি প্রশ্ন ওঠা স্বাভাবিক। স্থানীয় স্তরে কি বিজেপি জনপ্রতিনিধিদের দুর্বলতা ক্রমশ জনসমক্ষে স্পষ্ট হচ্ছে? সেই উপলব্ধি থেকেই কি অনুপম হাজরাদের মতো প্রাক্তন বিজেপি-রা কেন্দ্রীয় স্তরে সংখ্যাগরিষ্ঠতার সুযোগ নিয়ে বিজেপি-বিরোধী তথা স্থানীয় নেতৃবৃন্দের বিরুদ্ধে প্রতিহিংসা নেওয়ার চিন্তা করছেন?


উল্লেখ্য, আগামীকাল, ১৮ই সেপ্টেম্বর সংসদে বিশেষ অধিবেশন ডেকেছে বিজেপি। শনিবার রাতে বিজেপি সাংসদদের কাছে নির্দেশ গেছে যে প্রতিটি সাংসদ যেন অবশ্যই অধিবেশনে অংশগ্রহণ করেন, কারণ এই অধিবেশনে ক্ষমতাসীন বিজেপি সরকার কিছু অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেবেন।

Comments


bottom of page