মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী বীরেন সিংহের পৈতৃক বাড়িতে হামলার চেষ্টা করা হল। জনতার একটি দল বৃহস্পতিবার রাতে ইম্ফলে বীরেন সিংহের পৈতৃক বাড়িতে হামলা চালানোর চেষ্টা করে।
এরপর পরিস্থিতির সামাল দিতে শূন্যে গুলি চালায় পুলিশ। নিরাপত্তা বাহিনীর চেষ্টায় হামলার ঘটনা এড়ানো যায়। জানা যায় এ ঘটনা সময় মুখ্যমন্ত্রী বীরেন সিংহের বাড়িতে কেউ ছিলেন না।
বীরেন সিংহ ইম্ফলের অন্য একটি বাড়িতে থাকেন। মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে হামলাকে ঘিরে সেই রাজ্যে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। পরে মণিপুর পুলিশের পক্ষ থেকে তাদের এক্স (টুইটার) হ্যান্ডেলে জানানো হয় যে মুখ্যমন্ত্রীর ব্যক্তিগত বাড়িতে হামলার চেষ্টা করা হয়নি।
পুলিশের এক আধিকারিক সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে বলেছেন, ইম্ফলের হেইনগং এলাকায় মুখ্যমন্ত্রীর পৈতৃক বাড়িতে হামলার চেষ্টা হয়েছিল। জনতার দুটি দল বিভিন্ন দিক থেকে বাড়িটির দিকে এগোচ্ছিল। নিরাপত্তা বাহিনী তাদের ১০০-১৫০ মিটার দূরত্বে আটকে দেয়। সে পুলিশ আধিকারিক আরও জানিয়েছেন, পৈতৃক বাড়িটিতে কেউ থাকেনা তবুও বাড়িতে সর্বদা নজরদারি চালানো হয়।
গত তিন মে থেকে যেতে রয়েছে উত্তর-পূর্বের এই রাজ্য কুকি এবং মেইতেইদের সংঘর্ষ ঘিরে। সম্প্রতি সে রাজ্যের দুই পড়ুয়াকে খুনের অভিযোগ ওঠে এবং তার একটি ছবি সমাজ মাধ্যমের দ্বারা ভাইরাল হয়ে গিয়েছে। ছবিতে দেখা গিয়েছে দুজন পড়ুয়ার একজন আততায়ীর সঙ্গে বসে রয়েছে এবং অন্য একটি ছবিতে সেই পড়ুয়াদের মৃতদেহ দেখা যাচ্ছে।
উত্তেজনা আরও ছড়ায় এই ছবি প্রকাশ্যে আসার পর। বুধবার সকালে ইম্ফলের প্রচুর পড়ুয়া বিক্ষোভ প্রদর্শন করেছেন। মণিপুর সরকারের বিরুদ্ধে সরব হয়েছে তারা। বুধবারে বিক্ষোভের জেরে কিছু পড়ুয়া পুলিশের লাঠির ঘায়ে জখম হয়েছে। তাদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। যদিও পড়ুয়াদের অভিযোগ অস্বীকার করেছে পুলিশ। পুলিশের দাবি তাদের ওপর পড়ুয়ারাই আক্রমণ চালায়।
মুখ্যমন্ত্রী বীরেন সিংহ মণিপুরে ২ পড়ুয়ার হত্যাকাণ্ডে দোষীদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করার আশ্বাস দিয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন, তিনি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছেন।
Comments