২০২২-এর মে মাস। অসমের কাছাড় জেলার ডলু প্রদেশ। সরকার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল সেখানে নাকি নতুন বিমানবন্দর তৈরি হবে। সেই অনুযায়ী, কেটে ফেলা হল প্রায় আড়াই বিঘা জমির চা গাছ। মাঝখানে কেটে গেছে ১৬টা মাস।
বাগান কর্তৃপক্ষকে ক্ষতিপূরণের অর্থ প্রদান ছাড়া, বিমানবন্দর নির্মাণের কাজ এগোয়নি এক কদমও।
বিমানবন্দর তৈরির দায়িত্ব ছিল অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রকের উপর। এই ইস্যুতে প্রশ্ন করা হলে মুখে কুপুল এঁটেছেন তাঁরাও। মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা এবং বিজেপির একাধিক জেলা নেতৃবৃন্দের আশ্বাস পেয়েও সংশয় কমছে না সাধারণ মানুষের মনে।
অধিকতর বিপন্ন হওয়ার আশঙ্কায় ভুগছেন শ্রমিকরা। অসম সরকার ১২৯৬ জন শ্রমিককে এক লক্ষ টাকা করে আর্থিক সহায়তা করলেও, কথা রাখতে অপারগ বাগান কর্তৃপক্ষ।
ইতিপূর্বে, সিটু-সহ অন্যান্য শ্রমিক সংগঠনগুলিকে চা গাছ উপড়ে ফেলা এবং শ্রমিক কলোনি উচ্ছেদকে সায় দিয়েছিল। বাগান কর্তৃপক্ষের সঙ্গে চুক্তিতে স্বাক্ষর করে শ্রমিক সংগঠনগুলি। তবে সংগঠনগুলির দাবি, চুক্তির ৩৫ শতাংশের বেশি কাজে রূপান্তরিত হয়নি। তাঁদের অভিযোগ, "চুক্তি অনুযায়ী ৮০টি কাঁচা ঘর পাকা করার কথা ছিল। একটিও হয়নি। এ ছাড়া বকেয়া পাওনার অনেক কিছুই এখনও বাকি।
খেলার মাঠ উন্নয়ন, চিকিৎসা ব্যবস্থার উন্নতি— কথা মতো হয়নি।" যদিও চুক্তির কাজ এক মাসের মধ্যেই শেষ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু আজ আঠারো মাস পরেও নেই কোনো পদক্ষেপ। যদিও এদিন অসমের মুখ্যমন্ত্রী শিলচরের একটি সভায় এসে বলেন," শ্রমিকদের ঘর তৈরির কাজ শীঘ্রই শুরু হবে। "বিমানবন্দর নির্মাণ নিয়ে অনিশ্চয়তার কারণ নেই বলে আশ্বাস দেন হেমন্ত বিশ্বশর্মা।
অন্যদিকে, অসম মজুরি শ্রমিক ইউনিয়ন শুরু থেকেই চা বাগান নষ্ট করে বিমানবন্দর তৈরির বিরোধিতা করে চলেছে। তাঁরা এই জমি অধিগ্রহনকে বেআইনি বলে দাবি করে গৌহাটি হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেছেন। ইউনিয়ন আশাবাদী,ওই মামলার ফল স্বরুপ পুরো অধিগ্রহন প্রক্রিয়াই বাতিল হবে। সেক্ষেত্রে শ্রমিকরা সমবায় গঠন করে ওই জমিতে ফের চা বাগান করবেন।
Comments