বাংলা চলচ্চিত্রের দুই নায়ক দেব এবং সোহম চক্রবর্তী এখন উত্তরবঙ্গে। সেখানে পরবর্তী ছবির জন্য ডুয়ার্সে শুটিং করছেন তাঁরা।
পেশাদার অভিনেতা পর্দায় নায়কোচিত ব্যবহার করবেন, সেটাই স্বাভাবিক। কিন্তু পর্দার বাইরেও যদি তিনি যদি এমন আচরণ করেন, যা বেপরোয়া শুধু নয়, চূড়ান্ত দায়িত্বজ্ঞানহীন, তাহলে তা তিরস্কারেরই যোগ্য। বিশেষ করে, তিনি যদি একজন বিধায়ক হন।
হ্যাঁ, নায়ক অভিনেতা সোহম চক্রবর্তীর কথাই বলা হচ্ছে, যিনি আবার পূর্ব মেদিনিপুরের চণ্ডিপুর বিধানসভা এলাকার নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি।
সেই সোহম চক্রবর্তীকেই বৃহস্পতিবার সকালে উত্তরবঙ্গের একটি বেসরকারি রিসোর্টে প্রায় ১৫ ফুট লম্বা বিশালাকার অজগর ধরে ছবি তুলতে দেখা গেল।
কিছুক্ষণ পরেই অজগর সাপটির ওপরে দাঁড়িয়ে ছবি তুলতে দেখা যায় শুটিংয়ের বাকি সদস্যদের। এই নিয়ে শুরু হয়েছে বিতর্ক।
বিষয়টি নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে বিভিন্ন মহলেই। অভিনেতা বা নেতা হলে তো জনসমক্ষে তাঁর আচরণে আরো সতর্কতা থাকা উচিৎ ছিল। এই ধরণের ছেলেমানুষী একজন পূর্ণবয়স্ক মানুষের পক্ষে আদৌ শোভনীয় নয়।
অভিনেতার সোহম চক্রবর্তী কিন্তু আইনের উর্ধে নন। অত্যন্ত গর্হিত কাজ করেছেন উনি। সামনে ক্যামেরায় নথিভুক্ত হওয়া সত্ত্বেও (উপরে ভিডিয়োটি দেখুন) ওনার এই আচরণকে ক্ষমা করা সম্ভব নয়।
কারণ, অজগর সাপটিকে উনি ধরে বাহাদুরি দেখাচ্ছেন, সেটি ভারতীয় বন্যপ্রাণ আইনে সিডিউল ১ অন্তর্ভুক্ত ইন্ডিয়ান রক পাইথন।
বিলুপ্তপ্রায় জাতির একটি সরীসৃপ নিয়ে এমন ছেলেমানুষি সামনাসামনি দেখেও বন্যকর্মীরা কীভাবে কোনো পদক্ষেপ নিলেন না, তা নিয়ে শুরু হয়েছে বিতর্ক।
অনেকেরই প্রশ্ন, এভাবে কি ছবি তোলা যায়। সোহম চক্রবর্তী যতই যাই হোক, বন্যপ্রাণী বা সরীসৃপ বিশেষজ্ঞ নন। মানবিকতার দিক থেকে দেখলেও কোনও বন্যপ্রাণের এমন খেলাচ্ছলে বাহাদুরি লোটা নিন্দার যোগ্য।
ভিডিয়ো প্রমাণটি না থাকলেও তা সমানভাবে নিন্দাযোগ্য কাজ বলে গণ্য হতো।
Comments