১১টি বিশ্ববিদ্যালয় ফিন্যান্স অফিসারকে তলব করা হয়েছিল নবান্নে। সেই বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, এবার থেকে বিশ্ববিদ্যালয়গুলিকে বিকল্প পথে বেতন দেবে সরকার। বৈঠকে ঠিক হয়েছে, এবার থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সমস্ত কর্মী, অধ্যাপক, উপাচার্যদের বেতন যাবে রাজ্য সরকারের ট্রেজারি থেকে। ঠিক যেমন ভাবে বেতন পান অন্যান্য সরকারি কর্মীরা। বিশ্ববিদ্যালয়ের একাউন্ট মারফত বেতন দেওয়ার প্রক্রিয়া বন্ধ হয়ে যাবে।
ইতিপূর্বে, বিশ্ববিদ্যালয় কর্মীদের বেতন বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব একাউন্টে যেত। সেই প্রক্রিয়ায় এবার বদলের ভাবনা রাজ্য সরকারের। রাজ্যের কোষাগার থেকে সরাসরি প্রত্যেকের একাউন্টে ঢুকবে টাকা। পাশাপাশি, বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে জেনারেল প্রভিডেন্ট ফান্ডের লেনদেন হবে সেন্ট্রালি।
বেতনের বিকল্প প্রক্রিয়া হিউম্যান রিসোর্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম নিয়ে এদিন বিস্তর আলোচনা হয় নবান্নে। নবান্ন সূত্রে খবর, ২০১৮ সালে প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী প্রাপ্ত চট্টোপাধ্যায় এই প্রক্রিয়া চালু করতে চেয়েছিলেন। তখন থেকেই এই সিদ্ধান্তের বিপক্ষে বিস্তার মতামত উঠে এসেছে। বিরোধী শিক্ষক সংগঠনগুলির মতে, এই প্রক্রিয়া চালু হলে বিশ্ববিদ্যালয় নিজস্ব তা পুরোপুরি ভাবে উচ্চশিক্ষা দপ্তরের হাতে হস্তান্তরিত হবে। তাঁরা আশঙ্কা করছেন এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বায়ত্তশাসন খর্ব হবে। প্রয়োজনে, আইনি পথে হাঁটবেন বলেও শোনা যাচ্ছে।
প্রসঙ্গত, বিশ্ববিদ্যালয় গুলিতে উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে বহুদিন ধরেই চলছে রাজভবন এবং বিকাশভাবন দ্বন্দ্ব। রাজ্যের সঙ্গে কোনরূপ আলোচনা না করে আচার্য তথা রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস, উপাচার্য নিয়োগ করছেন বলে সরব হয়েছিলেন শিক্ষামন্ত্রী। এ বিষয়ে প্রকাশ্যে ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। চলতি মাসের শুরুর দিকে শিক্ষক দিবসের এক অনুষ্ঠান মঞ্চ থেকে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, "শিক্ষা ব্যবস্থাকে থামিয়ে দেওয়ার চক্রান্ত করছেন।" এরপরই অর্থনৈতিক বাধা সৃষ্টি করার হুমকি দেন মুখ্যমন্ত্রী। এখন প্রশ্ন হল, ঘুরিয়ে ফিরিয়ে তবে কি উপাচার্যদের রাশ নবান্নর হাতেই?
Comentarios