top of page

“বিজেপি যে ভাষা বোঝে, আমি সেই ভাষাতেই জবাব দিতে জানি।”, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়


তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় আজ সন্ধ্যায় দিল্লীতে সাংবাদিক বৈঠকে কেন্দ্রীয় সরকারকে সরাসরি হুঁশিয়ারি দিলেন। গান্ধীজয়ন্তীতে রাজঘাটে ধর্না চলাকালীন সাংবাদিক সম্মেলনে দিল্লি পুলিশের সঙ্গে তৃণমূল নেতা-নেত্রীদের যে বচসা আর সংঘাত হয়, তার প্রেক্ষিতে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই কড়া সুর যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।


কার্যত, দেশের রাজধানীতে বসেই প্রধানমন্ত্রী এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে তৃণমূল সম্পাদকের এই সাবধানবাণী নিয়ে চাঞ্চল্য লক্ষ্য করা যাচ্ছে দিল্লীতে, পশ্চিমবঙ্গে এবং দেশের অন্যত্রও।


গত শতকের সত্তরে পর্দায় বিস্ফোরণ জাগানো নায়কের কথাই আজ মনে করিয়ে দিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, যখন তিনি বলেন, “বিজেপি যে ভাষা বোঝে, আমি সেই ভাষাতেই জবাব দিতে জানি।”

অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এমনভাবে সরাসরি সংঘাতের ইঙ্গিত দেওয়াতে আগামীকালের বিক্ষোভ আন্দোলন কতটা নাটকীয় হয়ে উঠতে পারে, সেই বিষয়ে উত্তেজনা এখন থেকেই তুঙ্গে।


আজ দুপুরে ১০০ দিনের কাজ এবং আবাস যোজনায় বাংলার বকেয়া অর্থরাশির জন্যে ধর্না চলাকালীনই দিল্লি পুলিশ রাজঘাটে তৃণমূল নেতা-নেত্রী সহ অন্যান্যদের উপর চড়াও হয়। শুধু তাই নয়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় যখন সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলছিলেন, সেই সময় বাধাদানের উদ্দেশ্য নিয়েই দিল্লি পুলিশ অহরহ হুইসল বাজাতে থাকে।


সেই নিয়ে অভিষেক সহ অন্যান্য নেতাদের সঙ্গে দিল্লি পুলিশের আধিকারিকদের মধ্যে বচসা বাঁধে। এবং মেজাজের পারদ চড়তে থাকলে দিল্লি পুলিশ রীতিমতো ধাক্কা দিয়ে সমাবেশকে ছত্রভঙ্গ করে দেয়।


জানা যাচ্ছে, এই ধাক্কাধাক্কি চলাকালীন সাংসদ শান্তনু সেন নিজের মোবাইল ফোন হারান। দমকল মন্ত্রী সুজিত বসুর পা থেকে জুতো খুলে যায়। তৃণমূল কংগ্রেসের মহিলা সদ্স্যরাও পুলিশের বিরুদ্ধে নিপীড়নের অভিযোগ প্রকাশ করেন।


আজ সন্ধ্যার সাংবাদিক বৈঠকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় মনে করিয়ে দেন রাজঘাট শান্তির পীঠস্থান। সেখানে মহিলাদের উপর আক্রমণ কোনোভাবেই সহনীয় নয়। তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দেন, “সাধারণ মানুষের গায়ে হাত দিলে ফল ভালো হবেন।”


অন্যদিকে বেগুসরাই থেকে কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রী পাল্টা সাংবাদিক সম্মেলনে বলেন, পশ্চিমবঙ্গে ১০০ দিনের কাজ ঘিরে যে অনিয়ম হয়েছে, তার সিবিআই তদন্ত হওয়া প্রয়োজন।


এই তদন্তের প্রশ্নে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়ে দেন যে, তদন্ত হলে বাংলার মানুষ যদি বকেয়া টাকা পান, তাহলে তদন্তকে তিনি স্বাগত জানাবেন।


সন্ধ্যার সাংবাদিক বৈঠকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় জানান যে মঙ্গলবারের কর্মসূচী সকাল ৯.৩০-এর পরিবর্তে দুপুর ১ টা থেকে শুরু হবে। বিকেল ৫-টার সময়ে তৃণমূলের প্রতিনিধি দল কৃষিভবনে কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন দফতরে ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক বা প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন। সেই সাক্ষাৎকারের ভিত্তিতেই পরবর্তী কর্মসূচী ঘোষিত হবে।


শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রী গিরিরাজ সিং স্বয়ং এই তৃণমূলের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে পারেন।

Comments


bottom of page