বিহারে পর পর সেতু বিপর্যয়ের ঘটনায় চাঞ্চল্য বাড়ছে। দুই সপ্তাহে ১২টি সেতু ভেঙে পড়েছে সেরাজ্যে। এই পরিস্থিতিতে নড়েচড়ে বসল প্রশাসন। সাসপেন্ড করা হল ১৫ জন ইঞ্জিনিয়ারকে। সেই সঙ্গেই নীতীশ কুমার সরকার নতুন সেতুগুলির পুনর্নির্মাণের নির্দেশ দিল। যে সমস্ত কন্ট্রাক্টর দোষী সাব্যস্ত হবে তাঁরাই নতুন সেতু তৈরির খরচ দেবে।
গত কয়েকদিনে মধুবনী, আরারিয়া, পূর্ব চম্পারণ, কিষানগঞ্জের মতো এলাকায় পর পর সেতু ভেঙে পড়ার ঘটনায় বেড়েছে উদ্বেগ। প্রশাসন ‘অতিবৃষ্টি’র মতো নানা কারণ দেখিয়ে সাফাই গাইলেও একের পর এক ব্রিজ ভাঙার ঘটনায় আঙুল উঠছে নীতীশ কুমার সরকারের নীতির বিরুদ্ধে। অনেকেই দাবি করছেন, ভয়ংকর দুর্নীতির জেরেই এই হাল বিহারের (Bihar)। এই পরিস্থিতিতে এবার পদক্ষেপ করল বিহার প্রশাসন। বিহারের জলসম্পদ বিভাগের অতিরিক্ত মুখ্য সচিব চৈতন্য প্রসাদ এই সেতু বিপর্যয়ের জন্য কাঠগড়ায় তুলেছেন ইঞ্জিনিয়ারদের। তাঁর মতে, তাঁদের অবহেলা ও সেই সঙ্গে কন্ট্রাক্টরদের অসততাই ডেকে এনেছে বিপদ।
গত বৃহস্পতিবার রাজ্যের সারা জেলায় ভেঙে পড়ে একটি সেতু। যার ফলে ১৭ দিনে মোট ১২টি সেতু ভেঙে পড়ল। স্বাভাবিক ভাবেই এর পর থেকে চাঞ্চল্য আরও বেড়েছে। এর আগে গত বুধবার একই সঙ্গে ভেঙে পড়েছিল দুটি সেতু। সেতু দুটি ৩৫ বছরের পুরনো। একটি ১৯৯৮ সালে তৈরি। অন্যটি ২০০৪ সালে। প্রথমটির ক্ষেত্রে নির্মাণ খরচ ছিল ৬ লক্ষ টাকা। দ্বিতীয়টির ১০ লক্ষ টাকা। কিন্তু দীর্ঘদিন সেগুলি মেরামতির কাজ হচ্ছিল না বলে অভিযোগ। বলা হয়েছিল, দুই সেতুর বিপর্যয়ের পিছনে অন্যতম কারণ দীর্ঘদিন নদীর স্রোতে সেতুর কাঠামোর ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া। গত কয়েকদিনের টানা বৃষ্টি সেই বিপর্যয়কে নিশ্চিত করেছে।
Comments